ঋক পুরকায়স্থ, সাংবাদিক: রাজ্যে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো কুণাল ঘোষকে। কিছুদিন আগেই মুখপাত্র পদ থেকে তিনি সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে দলকে চিঠি লেখেন। পরে সেই চিঠি দলের তরফে গ্রহণও করা হয়। কিন্তু তখন তিনি রাজ্যে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে যেতে চাইলে দল থেকে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।
এর আগেও বহুবার কুণাল ঘোষ ও সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের মধ্যে বিবাদ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তবে তাপস রায়ের সঙ্গে কুণাল ঘোষের সম্পর্ক যে বরাবরই ভালো সেটা বলাই যায়। বুধবার সকালে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা ও বর্তমান বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের পাশে দাঁড়িয়ে একটি রক্তদান শিবির থেকে তাপস রায়ের প্রশংসা করতে দেখা যায় কুণাল ঘোষকে। তিনি বলেন, ‘‘তাপস রায় যতদিন জনপ্রতিনিধি ছিলেন, ততদিন মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন। দিন-রাত তাঁর দরজা মানুষের জন্য খোলা থাকত। মানুষ যখন তাঁকে ডেকেছেন তখন পেয়েছেন।’’ এছাড়াও তিনি বলেন, ‘‘এলাকার মানুষকে ঠিক করতে দিন, কাকে তাঁরা প্রার্থী হিসাবে বেছে নেবেন। ছাপ্পা ভোট যেন না হয়।’’
এই মন্তব্যের পরই তৃণমূলের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে লেখা রয়েছে, কুণাল ঘোষের মন্তব্য একেবারেই তার ব্যক্তিগত। এটা দলের বক্তব্য নয়। আর একারণেই তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।
সোশ্যাল মিডিয়াতে কুণাল ঘোষ তার বায়ো থেকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ সরিয়ে নিয়ে সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক লিখেছেন এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই। যখন তিনি তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে সরে যান তার পরে তিনি বলেন যে তিনি এখনো দলের সদস্য তিনি দল থেকে সরছেন না, কেবল তার পদ থেকে সরছেন। এখনো সেই বার্তা দেওয়ার জন্য তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়াতে এই পোস্ট করেছেন।
আরো পড়ুন: ফের নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ! এসএসসির রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতির