নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: প্রচারে বেরিয়ে চরম হেনস্থার শিকার হতে হল উত্তর -পূর্ব দিল্লির কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়া কুমারকে। মালা পরানোর অছিলায় কাছে পৌঁছে কানহাইয়াকে চড় মারেন এক যুবক বলে অভিযোগ । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর পূর্ব দিল্লির ওসমানপুর এলাকার কর্তারনগরের।
প্রচারে বেরিয়ে চরম হেনস্থার শিকার হতে হল উত্তর – পূর্ব দিল্লির কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়া কুমারকে। মালা পরানোর অছিলায় কাছে পৌঁছে কানহাইয়াকে চড় মারেন এক যুবক বলে অভিযোগ । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর পূর্ব দিল্লির ওসমানপুর এলাকার কর্তারনগরের। চড় মারার পাশাপাশি ইন্ডি জোটের প্রার্থীর গায়ে কালো কালি ছেটানোরও চেষ্টা করেন ওই যুবক। প্রচারের সময় আম আদমি পার্টির মহিলা কাউন্সিলর ছায়া শর্মাও ছিলেন কানহাইয়ার সঙ্গে। ছায়া শর্মার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে তীব্র বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় ঘটনাস্থলে। কানহাইয়া কুমারকে চড় মারার ভিডিও ভাইরাল নেট দুনিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে শুক্রবার বিকেলে প্রচারে বেরিয়ে মানুষের কাছ থেকে আর্শীবাদ নিচ্ছেন কানহাইয়া। আর ঠিক তখনই তাঁকে মালা পরাতে এগিয়ে আসেন এক যুবক। সেকেন্ডের পলকে সে কানহাইয়ার গালে চড় মারেন। এমনকী চড় মারার পর ইন্ডি জোটের প্রার্থীর গায়ে কালো কালি ছেটানোরও চেষ্টা করেন ওই যুবক। যুবকের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ছিল বলেও জানা গেছে। কানহাইয়া কুমারের সঙ্গে থাকা কংগ্রেস কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলেন ওই যুবককে।
ভিডিওতে অভিযুক্তদের মধ্যে একজন কে বলতে শোনা গেছে- ‘কানহাইয়া কুমার ভারতীয় সেনাকে অপমান করেছেন, দেশ ভাগের স্লোগান দিয়েছিলেন। তার প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা।” এনিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ জানাও হয়েছে।
থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন আপ কাউন্সিলর ছায়া শর্মা। লিখিত অভিযোগে ছায়া পুলিশকে জানিয়েছেন যে, অজ্ঞাত পরিচয় যুবকেরা সংখ্যায় বেশ কয়েকজন ছিল। তাদের মধ্যে এক অভিযুক্তকে ধরে ফেলতেই অন্য অভিযুক্তরা তাঁর ওড়না ধরে টানাটানি করে। শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়। আর কানহাইয়াকে চড় মারার পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ জন জোটকর্মীর গায়ে কালো কালি ছোড়া হয়েছে। আগামী ২৫ মে রাজধানি দিল্লির ৭টি আসনেই ভোটগ্রহণ। উত্তর পূর্ব দিল্লি লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোটের প্রার্থী কানহাইয়া। ভোটের মুখে হামলার এই ঘটনায় শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন : মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উদাসীনতায় মধ্যমিকে সপ্তম স্থান থেকে বঞ্চিত !