সায়ন্তিকা মুখার্জি, সাংবাদিকঃ লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা চলছে। আর এবার এই আবহেই নতুন গান বা র্যাপ পোস্ট করা হলে সিপিএমের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে। তবে এই দিয়ে কি ভোট বৈতরণী পার করা যাবে? গানের শব্দ নিয়ে ইতিমধ্যেই তো তৈরি হয়েছে বিতর্ক
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: এবার ভোট প্রচারে সিপিএম নিয়ে এল ‘র্যাপ’। যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হল বিতর্ক। শুধু তাই নয় ইতিমধ্যেই এই দিয়ে কি ভোট বৈতরণী পার করা যাবে? এই প্রশ্নও উঠে গেছে।
অতীতে দেখা গেছে যে তরুণ প্রজন্মের মন টানতে তরুণ প্রজন্মের ভাষাতেই গান দিয়ে প্রচার চলেছিল। বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল টুম্পা। টুম্পাকে নিয়ে ব্রিগেড যাওয়ার শপথ নেওয়া কিংবা নো ভোট টু টিএমসি নো ভোট টু বিজেপি ক্যাম্পেনিংয়ের পথে হেঁটে বামেদের ভোট দিয়েই জীবন এবং সরকার গড়ার কথা বলেছিল সেই গান। যে গানে বলা হয়েছিল ডেলোর মিসিং ডায়েরি কিংবা দল বদলের কথা। এবার সেই একই কায়দায় আনা হল র্যাপ
গানে ব্যবহার কর ভাষা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল। ভাষা ব্যবহার নিয়ে দলের অন্দরে এবং বাইরেও অনেকে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। সিপিএমের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই র্যাপ গানটির নাম চল ফোট। গানের মধ্যে এমন অনেক শব্দ রয়েছে যেগুলি শিক্ষিত, ভদ্র সমাজে উচ্চারণ করে না বাঙালি। এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এই গানটি নিয়ে বিতর্কের দায় নিতে নারাজ সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএমের বক্তব্য, ‘‘গানটা সিপিএমের পক্ষ থেকে হয়নি। যারা গানটি তৈরি করেছেন তারাই এ বিষয়ে বলতে পারবেন। অর্থাৎ গানটি দলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আপলোড হলেও ভাষা ব্যবহারের দায় নিতে চাইছেন না সিপিএম নেতারা।
টুম্পা বা জামাল কুদুর প্যারোডিতে কোন আপত্তিকর শব্দ ছিল না। বরং মজার ছলে রাজনৈতিক সমস্যাগুলোকেই তুলে ধরা হয়েছিল। সেবারও সিপিএমের ঐতিহ্য গণসংগীতের বদলে এরকম প্যারোডি ব্যবহারে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল এবারে যোগ হল ভাষা বিতর্ক।
আরও পড়ুন : ৮ মে উচ্চমাধ্যমিকের ফল। জেনে নিন কোন ওয়েবসাইটে দেখা যাবে ফল