ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ একটি দুটি নয় গোটা নিউটাউন চত্বর জুড়ে হিডকোর জমি দখল করে গড়ে উঠেছে ৩৫ টি পার্টি অফিস। সবকটি পার্টি অফিসই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। নির্দেশের পরও সেগুলি ভাঙার ক্ষেত্রে কোনরকম হেলদোল করছে না হিডকো এবং নিউটাউন ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি (এনকেডিএ)। যার জেরে যার পর নাই ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, ‘হিডকো কি নিজের জমির খেয়াল রাখতে পারে না? যে কেউ এসে জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ করে যাবে আর তারা চোখ বুজে থাকবে?’ শুক্রবার মামলার শুনানিতে হিডকোর আইনজীবী অভ্রতোশ মজুমদারকে বিচারপতির আরও প্রশ্ন, ‘কেন দখলদারি ঠেকাতে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর থাকবে না? কেন জনসাধারণের জন্য কোন পোর্টাল খোলা হবে না যেখানে তারা অভিযোগ জানাতে পারেন?’ এই প্রশ্নের উত্তরে অভ্রতোশ বাবু অবশ্য দায় ঠেলেছেন এনকেডি এর কাঁধে। তিনি বলেন জমি হিডকোর ঠিকই কিন্তু এক্ষেত্রে কোন বেআইনি নির্মাণ হলে তা চিন্তিত করে সরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব এন কে ডি এ কর্তৃপক্ষের। এই যুক্তি শুনে বিচারপতি আরো বলেন হিডকো এবং এন কে দিয়ে একে অপরের উপর দায় চাপাচ্ছে। কলকাতা পুরসভার ধাঁচে কেন জনসাধারণের জন্য গ্রিভান্স পোর্টাল খোলা হবে না যেখানে তারা অভিযোগ জানাতে পারেন। মামলাকারীর আইনজীবী শামীম আহমেদ দাবী করেন, এনকেডিএ আইনের ৮২ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোন বেআইনি নির্মাণ হলেই অবিলম্বে তা ভেঙে ফেলার দায়িত্ব এনকেডি এর। এক্ষেত্রে তা হয়নি তারা শুধু নোটিশ ইস্যু করে বসে রয়েছে। নিউটাউন থানাও বেআইনি নির্মাণের কথা স্বীকার করে নিয়েছে তা সত্ত্বেও কিছু করা হচ্ছে না। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পরই, বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, যত শীঘ্র সম্ভব সমস্ত বেআইনি পার্টি অফিসকে ভেঙ্গে ফেলতে হবে এনকেডিএ এবং হিডকো যৌথভাবে এই কাজ করবে। এছাড়াও ভবিষ্যতে যাতে সরকারি জমি দখল করে কোনরকম পার্টি অফিস করে না উঠে সেজন্য পুলিশকে প্রতিনিয়ত এলাকায় টহলদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা।
আরও পড়ুন : আজই জামিন পেতে পারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল!