প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও দীর্ঘদিন দিন বৃষ্টি না হওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে ফলনে। ফলন অনেকটাই কমেছে তাই যোগান কম। ক্রমেই বাড়ছে আলুর দাম। হিমঘর থেকে আলু বেরতেই অনেকটাই চড়া আলুর দাম।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও দীর্ঘদিন দিন বৃষ্টি না হওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে ফলনে। ফলন অনেকটাই কমেছে তাই যোগান কম। ক্রমেই বাড়ছে আলুর দাম। হিমঘর থেকে আলু বেরতেই অনেকটাই চড়া আলুর দাম।সাধারণ খুচরো বাজারে জ্যোতি আলুর দাম এখন কেজি প্রতি ৩০ টাকার আশেপাশে আর ৩৫ টাকার আশপাশে চন্দ্রমুখী আলুর দাম। গতবছর এই দাম অনেকটাই কম ছিলও বলে মত বিক্রেতাদের। গতবছর হিমঘর থেকে বেরনোর পর জ্যোতির খুচরো দাম বছরভর ২৫ টাকারও কম ছিল। কিন্তু এবার দাম শুরুতেই তার চেয়ে অনেকটা বেশি, তাই চিন্তায় সাধারণ ক্রেতারা। এখন প্রশ্ন আলুর দাম আগামী দিনে স্থিতিশীল হবে কিনা। ভরসার বাণী শোনা যাচ্ছে না ব্যবসায়ীদের মুখে। তাদের বক্তব্য, ভিন রাজ্যে আলু সরবরাহের উপর নির্ভর করবে আলুর দাম। তাদের মত, ভিন রাজ্যে আলুর চাহিদা বাড়লে স্থানীয় বাজারে তার প্রভাব পড়বে। গত বছর হিমঘরে আলু মজুত ছিল প্রায় ৭২ লক্ষ টন। এবার তার থেকে কিছুটা কৃ আলু মজুত আছে।
এবারের পরিমাণটি প্রায় ৬৩ লক্ষ টন। ব্যবসায়ীদের দাবিগতবারের তুলনায় এবার অনেক বেশি দামে কেনা আলু হিমঘরে মজুত হয়েছে। তাই হিমঘর ঘুরে আসা আলুর দাম বেশিই থাকছে। এবার ১৫-১৬ টাকা কেজি দরে কেনা জ্যোতি আলু হিমঘরে মজুত হয়। গতবার তা কেনা হয়েছিল ৯-১০ টাকায়। ক্রয়মূল্যের সঙ্গে যোগ হয় হিমঘরের ভাড়া ও অন্যান্য খরচ। সব মিলিয়ে এবার হিমঘর থেকে আলু বেরচ্ছে ২৪ টাকা কেজি দরে। তাই হিমঘরে যাঁরা আলু রেখেছেন তাঁদের খুব সামান্যই লাভ হচ্ছে বলে মত তাদের। বাংলার পাশাপাশি ইউপিতেও আলুর দাম চড়া। তাই সেখানকার আলু এলেও এখানে দাম কমার আশা কম। গতবার মধ্যবিত্ত বাড়ীর হাতের নাগালের বাইরে গেছিল পেঁয়াজের দাম।তবে পেঁয়াজের দাম এখনও স্থিতিশীল। রাজ্যে পেঁয়াজের ব্যাপক ফলনই এর মূল কারণ। পেঁয়জের খুচরো দাম চলছে মোটামুটি ৩০ টাকা। কথাও ৪০ টাকা। পাইকারি বাজারে আরও কম। তাই বাজারে গিয়ে পেঁয়াজের দাম নিয়ে ক্রেতারা দীর্ঘ শ্বাস না নিলেও আলুর ঊর্ধ্বমুখী দাম কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে ক্রেতাদের।
আরও পড়ুন : বিত্তশালী প্রার্থী কঙ্গনা