নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: নির্ধারিত দিনের আগে ফলপ্রকাশ, যুগ্ম ভাবে ৬৭ জন প্রথম ও গ্রেস মার্ক চলতি বছর নিটের ফলপ্রকাশের পর থেকে এই বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিতর্কের মাঝে ২০২৪ সালের নিট নিয়ে অসঙ্গতির অভিযোগ একপ্রকার মেনে নিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে জানান হয় যে এবারের নিটে ১,৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী যে গ্রেস মার্কস পেয়েছিলেন তাঁদের সেই বাড়তি গ্রেস মার্কস বাতিল করে দেওয়া হল। ওই ১,৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী চাইলে তাঁদের ফের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলেও জানায় কেন্দ্র।
চলতি বছর ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটে ৬৭ জন যুগ্ম ভাবে প্রথম হয়েছে। এরপর থেকে নিট নিয়ে উঠতে শুরু করেছে বিস্তর প্রশ্ন। প্রশ্ন ফাঁস ও গ্রেস মার্ক নিয়েও উঠেছে অভিযোগ। নিট নিয়ে ব্যাপক অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বাতিল ও কাউন্সেলিং বন্ধের আর্জি জানিয়ে দায়ের হয়েছিল একাধিক মামলা।
প্রথমে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি নিট নিয়ে দাবি করছিল, নিটে কোনওরকম বেনিয়ম হয়নি। কিন্তু র্যাঙ্কিং নিয়ে বিতর্ক প্রকাশ্যে আসতেই এই বাড়তি নম্বরের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে বিভিন্ন মহল। এমন কি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। মমলা গড়ায় সর্বোচ্চ আদালতে। অবশেষে হল সমস্যার সমাধান। কেন্দ্র জানায়, ১৫৬৩ জন নিট পরীক্ষার্থীকে দেওয়া বাড়তি নম্বর বাতিল করা হবে। পাশাপাশি তাঁদের নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেবে কেন্দ্র। যাঁরা এই পরীক্ষা দিতে ইছুক তাঁদের আগামী ২৩ জুন এই পরীক্ষা দিতে হবে। ৩০ জুন ফলপ্রকাশ। এই সিদ্ধান্তে খুশি শিক্ষকমহলের একাংশ।
আরও পড়ুন : কৃষকদের টাকা দিলেন মমতা। কিন্তু কেন!