প্রত্যাশা মতোই অষ্টাদশ লোকসভার অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন বিজেপি সাংসদ ওম বিড়লা। বুধবার লোকসভায় একপ্রকার ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে তিনি জয়ী হন। জয়ী (অধ্যক্ষ পদে) হওয়ার পর তাঁকে (ওম বিড়লা) অধ্যক্ষের চেয়ারের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- ১৯৭৬ সালের পর ফের একবার অধ্যক্ষ নির্বাচন দেখলো লোকসভার অধিবেশন কক্ষ। বুধবার ঠিক বেলা এগারোটায় অধ্যক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। শাসক এনডিএ জোট যেমন জানতো তাঁদের কাছে সংখ্যা রয়েছে, ঠিক তেমনি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট ও জানতো যে তাঁদের প্রার্থী হারবে। তবে তাঁদের বক্তব্য ছিলো যেহেতু সহমতের ভিত্তিতে অধ্যক্ষ নির্বাচন করার প্রক্রিয়া শাসক দল করে নি, তাই দায় টা তাঁদের। তাঁরা (ইন্ডিয়া জোট) জেনেশুনেই কে সুরেশ কে প্রার্থী করেছিলো। এদিকে অধ্যক্ষ নির্বাচন নিয়ে বিরোধী জোটের মধ্যে প্রাথমিক যে ফাঁটল তৈরি হওয়ার উপক্রম হয়েছিলো, রাহুল গান্ধী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ (গতকাল প্রথমে অধিবেশন কক্ষে অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করা ও পরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা) গ্রহণ করার ফলে আজ সকালে জানা যায় যে কংগ্রেস সাংসদ কে সুরেশের পক্ষেই ভোট দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও সেই অর্থে ভোটাভুটির প্রয়োজন এদিন হয় নি। একপ্রকার ধ্বনি ভোটের মাধ্যমেই অধ্যক্ষ পদে ওম বিড়লার নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। প্রসঙ্গত স্মরনাতীত কালের মধ্যে ওম বিড়লাই প্রথম যিনি প্রথম দফায় টানা পাঁচ বছর অধ্যক্ষ থাকার পর ফের দ্বিতীয় দফায় অধ্যক্ষ মনোনিত হলেন।
এদিন রাজস্থানের কোটা আসন থেকে জিতে আসা বিজেপি সাংসদ ওম বিড়লা অধ্যক্ষ নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “নতুন ইতিহাস তৈরি হলো। আপনার আমলে আগেরবার অনেক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হয়েছে, গত অধিবেশনেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হয়েছে।” এদিকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “সরকারের রাজনৈতিক ক্ষমতা রয়েছে। বিরোধীরাও দেশের কণ্ঠস্বর। আশা করব বিরোধীদের বলতে সুযোগ দেওয়া হবে।”
অধ্যক্ষ নির্বাচনে জেতার সংখ্যা ছিলো না। ফলে তাঁরা জেতেওনি। কিন্তু বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট চেয়েছিলো আনুষ্ঠানিক বিরোধীতার সূত্রটির সূত্রপাত করতে, তাঁরা সেটাই করলো বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন : ফ্ল্যাট বা বাড়ির মিউটেশন করতে হলে দিতে হবে সার্ভিস চার্জ। আপত্তি কলকাতা হাইকোর্টের