বুধবার রাজ্য বিধানসভায় এক অভিনব বিক্ষোভে অংশ নিলেন শাসক দলের দুই বিধায়ক। সদ্য হওয়া উপনির্বাচনে জয়লাভ করার পরে বাইশ দিন কেটে গেলেও এখনও বিধায়ক হিসাবে শপথ নিতে না পারার কারণেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন সায়ন্তিকা, রেয়াত রা।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- জুন মাসের চার তারিখ লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনই রাজ্যের দুই বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। লোকসভায় জয়ী হওয়া সাংসদরা ইতিমধ্যেই শপথ নিয়ে ফেলেছেন, কিন্তু উপনির্বাচনে জয়লাভের পরে এখনও বিধায়ক হিসাবে শপথ নিতে পারেন নি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জেতা দুই বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবন ও বিধানসভার টানাপোড়েনে শপথ নিতে না পারায় বুধবার বিধানসভার গাড়ি বারান্দায় অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন তাঁরা।
ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ও বরাহনগর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হওয়া দুই বিধায়ককে কে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন তাই নিয়ে জলঘোলা চলছে অনেকদিন ধরেই। প্রথা মতো বিধানসভা থেকে এই বিষয়ে রাজ্যপালের অনুমতি চাওয়া হয়েছিলো বলেই বিধানসভা সূত্রে খবর। উল্টোদিকে রাজভবনের পক্ষ থেকে আজ অর্থাৎ বুধবার বেলা বারোটা নাগাদ এই দুই বিধায়ককে রাজভবনে শপথ পাঠ করার জন্য উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু দুই বিধায়কেরই বক্তব্য তাঁদেরকে এটা জানানো হয় নি যে কে তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। যদিও তাঁরা চান বিধানসভার অধ্যক্ষ তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করান। রাজ্যপালও পাঠ করাতে পারেন, কিন্তু সেটা তাঁদের জানাতে হবে।
এদিকে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, উপনির্বাচনে জয়ী কোনো বিধায়কের শপথ বাক্য পাঠ করানোর বিষয়ে সংবিধান প্রণেতা বি আর অম্বেডকর এক জায়গায় বলেছেন যে এক্ষেত্রে বিধানসভার অধ্যক্ষই এই কাজ টি করাতে পারেন। তিনি আরও বলেন যে রাজ্যপাল গণতন্ত্র বিরোধী কাজ করছেন। এই বিষয়ে আইনি পথ খতিয়ে দেখার কথাও জানান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে এই টানাপোড়েনের মধ্যে দুই বিধায়কের শপথ বাক্য পাঠ নিয়ে যে জটিলতা চলছিলো তা যে আরও বাড়লো তা বলাই যায়।
আরও পড়ুন : ফের অধ্যক্ষ হলেন ওম বিড়লা। পরাজিত কে সুরেশ