নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : নিটের পর নেট দূর্নীতির অভিযোগ। এনটিএ আয়োজিত নেট হয়েছে মঙ্গলবার। মাত্র ২৪ ঘন্টা ব্যবধানে সর্বভারতীয় স্তরের এই পরীক্ষা বাতিল করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। বুধবার ২০২৪ সালের জুন সেশনের ইউজিসি-নেট বাতিল করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত মিলেছে যে ইউজিসি-নেটে স্বচ্ছতার সঙ্গে আপস করা হয়েছে। সেজন্যই পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। এই পুরো ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই বলেও জানাই শিক্ষামন্ত্রক। ১৮ জুন মঙ্গলবার ২০২৪-এ দেশের বিভিন্ন শহরে দুটি শিফটে ওএমআর মোডে জুন সেশনের নেট দেন ৯ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী।
জুনের সেশনের জন্য আবেদনকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১,২১,২২৫ জন। তবে নাম নথিভুক্ত করলেও পরীক্ষায় বসেন ৯,০৮,৫৮০ জন। অর্থাৎ ৮১ শতাংশের মতো।
পরীক্ষা শেষের একদিন কাটতে না কাটতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা ‘ভারতীয় সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার’ থেকে বেশ কিছু তথ্য জানতে পারে ইউজিসি। এমনকী সূত্র মারফত ‘প্রশ্ন ফাঁস’ সংক্রান্ত অনিয়মেরও হদিস মেলে। এরপরেই মন্ত্রকের কাছে পরীক্ষা বাতিলের বার্তা পাঠায় আয়োজক সংস্থা এনটিএ। তড়িঘড়ি জুনের এই সেশনের পরীক্ষা বাতিল করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। ইউজিসি-নেট বাতিলকে ঘিরে ব্যাপক বিতর্কের দানা বাঁধে। শুরু হয় রাজনৈতিক তর্যা। শিক্ষামন্ত্রকের বক্তব্য,পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়েছে, কারণ এব্যাপারে ইউজিসি কিছু তথ্য পেয়েছিল। যেখানে সততার সঙ্গে আপোস করা হয়েছে বলে মত তাদের। এ ব্যাপারে সরকার কড়া পদক্ষেপ নিতে পিছু হঠবে না। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। আর নেট পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের বার্তা খুব দ্রুত জুনের সেশনের নেট নেওয়া হবে। যদিও এখনও দিন ঘোষণা করা হয়নি। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রকের যুগ্ম সচিব গোবিন্দ জয়সওয়াল বলেছেন, বিষয়টির তদন্তের জন্য সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে নতুন পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য শীঘ্রই জানানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রকের ওই কর্তা।
আরও পড়ুন : পার্ক স্ট্রিটের হোটেল থেকে নিখোঁজ বাংলাদেশী যুবক