ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: বর্ষার মৌসুমে পরে পরেই শহর শহরাঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। দেখতে পাওয়া যায় প্রশাসনিক তৎপরতা। এবছর জুলাই দ্বিতীয় সপ্তাহে মধ্যে প্রবেশ করলেন উত্তর বঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হলেও দক্ষিণ বঙ্গে সেভাবে বর্ষা এখনো দেখা যায়নি।
বর্ষার মরশুম হলেও বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি শুরু হলেও সেটা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। এখানে মানুষের আতঙ্ক। কারণ হটাৎ বৃষ্টিতে ডাবের খোলা, পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা টায়ার, ভাঙ্গা ভাঁড় ডেঙ্গু মশার আঁতুড়ঘর। প্রশানিক ভাবে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বলতে গেলে সারা বছর প্রচার অভিযান চালানো হয়। কিন্ত তা সত্বেও প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। তবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার তুলনায় শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ যে কম তা স্পষ্ট করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
শনিবার দুপুরে কলকাতা পুরসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানালেন গত বছর ২০২৩ মহানগরীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত সংখ্যা ছিল ১৮৯জন। সেই সালের তুলনায় এবছর ২০২৪ সালের ৩০শে পর্যন্ত সামান্য কম১১২ জন। যা শতাংশের নিরিখে ৩৭%।
জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মহানগরী থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু সচেতনতার প্রচার অভিযান চালানো হয়। কিন্ত তা সত্বেও ডেঙ্গু আক্রান্ত সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে পড়ে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানালেন মানুষকে আর বেশ সচেতন হতে হবে। প্রশাসন অবশ্যই কাজ করবে। তবে মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গু জ্বরের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন যত্রতত্র ডাব খেয়ে ফেলে দেওয়া, যেখানে সেখানে প্লাস্টিক প্যাকেটে নোংরা ফেলে রাখা, ভাঙ্গা ভাঁড় ফেলে রাখা। এই সমস্ত জয়গায়াতেই বৃষ্টির জল জমে ডেঙ্গুর লার্ভা জন্ম নেয়। তাই মানুষ যদি সচেতভাবে হয় তাহলেই ডেঙ্গু মোকাবিলা (Dengue) করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন : কোপার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ কানাডা