প্রবীর মুখার্জি, সাংবাদিকঃ শুনতে অবাক লাগলেও সত্যিই পুরীতে জগন্নাথ দেব যে রথে চেপে মাসির বাড়ি যান, সেই রথেই শঙ্খচূড়ের অস্তিত্ব। জগন্নাথ –বলভদ্র-সুভদ্রা। তিন দেব-দেবীর পৃথক রথ রয়েছে। প্রতি বছর নতুন করে তৈরি করা হয় এই রথ। এর আগে প্রতিবেদনে জানিয়েছিলাম তার বৃত্তান্ত। আজকের প্রতিবেদনে এই তিন দেব-দেবীর রথের বর্ণনা থাকছে। সেখানেই এমন অবাক করা কাহিনী। জগন্নাথ দেবের রথের নাম নান্দীঘোষ। ৪৪ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতা বিশিষ্ট এই রথের রয়েছে ১৬টি চাকা। মোট ৮৩২টি কাঠের টুকরো দিয়ে তৈরি হয় এই রথ। দৈর্ঘ্যে ৩৪ ফুট ৬ ইঞ্চি। প্রস্থেও ৩৪ ফুট ৬ ইঞ্চি। এই রথের অন্য নাম কপিধ্বজ । অনেকে আবার গুরুড়ধ্বজও বলে থাকেন। রথের রং লাল-হলুদ । নান্দীঘোষের অভিভাবক হলেন গরুড়। জগন্নাথদেবের রথের সারথির নাম দারুকা। পতাকারও রয়েছে পৃথক নাম। ত্রৈলোক্যমোহিনী। পতাকার প্রতীক পাম গাছ। জগন্নাথ দেবের রথে রয়েছে চারটি ঘোড়া। তাদের নাম যথাক্রমে শঙ্খ, বলাকা, শ্বেতা ও হরিদাশ্ব। এই রথের ঘোড়ার গায়ের রং সাদা। রথের সঙ্গী দেবতা মদনমোহন। রথের দ্বারপাল জয়া-বিজয়া। মোট ৯টি পার্শ্বদেবতা রয়েছেন প্রতিটি রথে। জগন্নাথ দেবের রথে রয়েছেন পঞ্চমুখী মহাবীর হনুমান।
এছাড়াও রয়েছ হরিহর,মধুসূদন,গিরিধারী,নরসিংহ,কৃষ্ণ,নারায়ণ শ্রীরামচন্দ্র এবং হনুমানজির উপর উপবিষ্ট রঘুবীর। জগন্নাথদেবের রথের রশি অর্থাৎ দড়ির নাম শঙ্খচূড় নাগিনী।
বলভদ্র বা বলরামের রথের নাম তালধ্বজ। অনেকে লাঙ্গলধ্বজও বলে থাকেন। রথের চাকার সংখ্যা ১৪টি। মোট ৭৬৩টি কাঠের টুকরো দিয়ে তৈরি হয় এই রথ । উচ্চতা ৪৩ ফুট ৩ ইঞ্চি । রথের দৈর্ঘ্য ৩৩ ফুট। প্রস্থ ৩৩ ফুট । রথের রং লাল ও নীলাভ সবুজ। রথের অভিভাবক বাসুদেব। রথের সারথি মাতলি। পতাকার নাম উন্নানি। এই রথের পতাকার প্রতীকও পাম গাছ। এই রথের চারটি ঘোড়ার গায়ের রং কালো। এই রথের সঙ্গী দেবতা রামকৃষ্ণ। রথের দ্বারপাল নন্দা ও সুনন্দা। রথের ৯টি পার্শ্বদেবতা হলেন। গণেশ, কার্তিক, সর্বমঙ্গলা, প্রলাম্বরী, হলায়ূধ, মৃত্যুঞ্জয়, নাটস্বর, মুক্তেশ্বর ও শেশদেব। এই রথের দড়ির নাম বাসুকি নাগ।
একই ভাবে সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন বা দেবদলন। ১২ চাকা বিশিষ্ট এই রথের উচ্চতা ৪২ফুট ৩ ইঞ্চি। ৫৯৩ টি কাঠের টুকরো দিয়ে তৈরি এই রথের দৈর্ঘ্য ৩১ ফুট ৬ ই্ঞ্চি। প্রস্থ ৩১ ফুট ৬ইঞ্চি। এই রথের রং লাল-কালো। রথের অভিভাবক জয়দুর্গা। রথের সারথি অর্জুন। রথের পতাকার নাম নাদাম্বিকা। এই রথেরও প্রতীক পাম গাছ। যথারীতি এই রথেও রয়েছে ৪টি ঘোড়া। তবে তাদের গায়ের রং লাল। রথের সঙ্গী দেবতা সুদর্শনা। রথের দ্বারপাল গঙ্গা ও যমুনা। এই রথেও রয়েছেন ৯ জন পার্শ্বদেবতা । চণ্ডী, চামুণ্ডা, উগ্রতারা, বনদুর্গা, শুলিদুর্গা, বারাহী, শ্যামাকালী, মঙ্গলা ও বিমলা। এই রথের দড়ির নাম স্বর্ণচূড় নাগিনী। এই তিনটি রথের কোনওটিতেই ব্যবহার করা হয় না কোনও পেরেখ।
একই ভাবে সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন বা দেবদলন। ১২ চাকা বিশিষ্ট এই রথের উচ্চতা ৪২ফুট ৩ ইঞ্চি। ৫৯৩ টি কাঠের টুকরো দিয়ে তৈরি এই রথের দৈর্ঘ্য ৩১ ফুট ৬ ই্ঞ্চি। প্রস্থ ৩১ ফুট ৬ইঞ্চি। এই রথের রং লাল-কালো। রথের অভিভাবক জয়দুর্গা। রথের সারথি অর্জুন। রথের পতাকার নাম নাদাম্বিকা। এই রথেরও প্রতীক পাম গাছ। যথারীতি এই রথেও রয়েছে ৪টি ঘোড়া। তবে তাদের গায়ের রং লাল। রথের সঙ্গী দেবতা সুদর্শনা। রথের দ্বারপাল গঙ্গা ও যমুনা। এই রথেও রয়েছেন ৯ জন পার্শ্বদেবতা । চণ্ডী, চামুণ্ডা, উগ্রতারা, বনদুর্গা, শুলিদুর্গা, বারাহী, শ্যামাকালী, মঙ্গলা ও বিমলা। এই রথের দড়ির নাম স্বর্ণচূড় নাগিনী।
আরও পড়ুন : কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৭%, ২০২৩ য়ের তুলনায় অনেকটাই কম জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম