মুম্বইয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার বলি রেলকর্মী। কামরা ও ইঞ্জিন জোড়ার জন্য কাপলিং লাগাতে গিয়ে পিষে গেলেন রেলওয়েতে কর্মরত পয়েন্টসম্যান।
পৌষালী উকিল, প্রতিনিধি : দেশে একের পর এক রেল দুর্ঘটনা যখন আতঙ্ক ধরাচ্ছে যাত্রীদের মনে তখন এসবের মাঝেই এবার রেলের কাজ করতে গিয়েই মৃত্যু হল এক রেলকর্মীর। কর্তব্য অনুযায়ী কাজ করতে গিয়েছিলেন। বরং বলা যায় একটা বড় দুর্ঘটনা রুখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কাজই যে তার প্রাণ কেড়ে নেবে কে জানত ?
মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল বাণিজ্যনগরী। মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নিল এক রেলকর্মীর প্রাণ। কামরা ও ইঞ্জিন আলাদা হয়েছিল। কাপলিং না জুড়লে ঘটতে পারত বড় বিপত্তি। সেই কামরা ও ইঞ্জিন জোড়ার জন্য কাপলিং লাগাতে গিয়েই পিষে গেলেন সেন্ট্রাল রেলওয়েতে কর্মরত পয়েন্টসম্যান সুরজ শেঠ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে মুম্বইয়ের সিএসএমটি স্টেশনে। সেই স্টেশনের ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল মুম্বই-ভুবনেশ্বর কোনার্ক এক্সপ্রেস। ওই ইঞ্জিনের সঙ্গেই কামরা জুড়ছিলেন ওই রেলকর্মী। তখনই দুটি ট্রেনের মাঝে আটকা পড়ে যান তিনি। বাঁচার কোনও উপায়ই ছিল না তাঁর কাছে। সঙ্গে সঙ্গেই চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে যান ওই রেল কর্মী।
কামরা ও ইঞ্জিন জোড়ার জন্য কাপলিং লাগানোর চেষ্টা করছিলেন পয়েন্টসম্যান সুরজ শেঠ। প্রথমবারের চেষ্টায় কাপলিং লাগাতে ব্যর্থ হন। এরপরই সেই মর্মান্তিক ঘটনার বলি হন তিনি। এমনটাই জানিয়েছে রেল। কাপলিং জোড়ার এই কাজকে বলা হয় শান্টিং ওয়ার্ক। সাধারণত এই কাজের সময় সব খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখতে একজন সুপারভাইজার উপস্থিত থাকেন সেখানে। কিন্তু মঙ্গলবার দুর্ঘটনার সময় সেখানে কোনও সুপারভাইজারকেই দেখা যায়নি। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া সুরজ শেঠের পরিবারে।
রেলের গাফিলতিই কি একের পর এক দুর্ঘটনার কারণ, উঠছে প্রশ্ন। শুধু তাইই নয়। প্রশ্ন উঠছে অনেক কিছুই। যেমন- কেন শান্টিং ওয়ার্কের সময় কোনও সুপারভাইজার ছিল না? কেনই বা কাপলিং লাগানোর সময় পয়েন্টসম্যানকে লক্ষ করা গেল না? আদৌ কি এই মর্মান্তিক ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে ?
আরও পড়ুন : কবে থেকে হলিস্টিক প্রগ্রেস রিপোর্ট কার্ড হাতে পাবেন শিক্ষার্থীরা। জানিয়ে দিল শিক্ষা দফতর।