সহেলী দত্ত, সাংবাদিকঃ পুরীর রত্নভাণ্ডার (Ratna Bhandar) খোলার ব্যাপারে ৯ জুলাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানালেন বিচারপতি বিশ্বনাথ রথের নেতৃত্বাধীন নবগঠিত কমিটি। এমনি নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ। বিকল্প চাবি তৈরি করে রাখা হয়েছে সরকারের হেফাজতে। যদি চাবি দ্বারা রত্নভাণ্ডারের দরজা না খোলে, তবে সেই ক্ষেত্রে ভেঙে ফেলা হবে তালা। ভারতের সবথেকে অলৌকিক মন্দির বলা হয় পুরীকে। একাধিক অলৌকিক কাণ্ডকারখানা ঘটে থাকে এই মন্দিরে। রয়েছে বেশ কিছু রহস্যময় কাহিনীও তারমধ্যে বহুল প্রচলিত এক কাহিনী হল পুরীর রত্নভাণ্ডা (Ratna Bhandar)।
কথিত আছে, বহুমূল্য সম্পত্তি রাখা আছে রত্নভাণ্ডারে (Ratna Bhandar)। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রক্ষা করছে এক অদৃশ্য শক্তি। ওড়িয়াদের মতে সেই দ্বারপাল নাকি স্বয়ং নাগরাজ। যতবারই রত্নভাণ্ডারের দরজা খোলার চেষ্টা করা হয়েছে। ততবারই কিছু না কিছু বাধা এসেছে।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে হাইকোর্ট (Odisha High Court) ও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (Archaeological Survey of India) নির্দেশে ওড়িশা সরকার (Odisha Govt) জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খোলার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে সেই সময় চাবি হারিয়ে যাওয়ায় সেই রত্ন ভাণ্ডার আর খোলা সম্ভব হয়নি। তবে এর মধ্যেও লুকিয়ে আছে আরেক কাহিনী। কারণ সেই চাবি রহস্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। কীভাবে হারাল ওই চাবিটি। হাজার তদন্ত করেও সেই সূত্র মেলেনি। পুরীর মন্দিরের চর্চিত কথা অনুযায়ী, জগন্নাথ মন্দিরের এই রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরে প্রায় ৮৬২ বছরের পুরনো ধন সম্পত্তি রয়েছে। এই সব সম্পত্তিই নাকি পুরীর তিন ভগবান বলরাম, জগন্নাথ, সুভদ্রার। সেখানে নাকি তাঁদের মূল্যবান ধাতুর বাসনপত্র আছে।
১৯৭৮ সালে রত্নভাণ্ডার শেষবার খোলা হয়েছিল। তখনই সম্পত্তির পরিমাণ প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল। পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রত্নভাণ্ডারে সোনা রয়েছে ১৫০ কেজি, রূপো রয়েছে ১৮৪ কেজি। রত্নভাণ্ডারে তিনটি প্রকোষ্ঠ রয়েছে। এই প্রকোষ্ঠের গয়না দৈনিক পুজোর সময় ব্যবহার করা হয় বলে দাবি করেছেন পুরীর মন্দিরের পুরোহিতরা। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে নিরাপদেই রয়েছে রত্নভাণ্ডার। অনেকেই দাবি করেন, পুরীর রত্নভাণ্ডারে যে পরিমাণ সোনা রয়েছে তা পৃথিবীর কোনও মন্দিরে নেই।
আরও পড়ুন : নব নীলাচলের গরিমা