রথের দিন (Rath Yatra 2024) শুরু হয় যাত্রার বুকিং। কয়েক দশক আগেও এই দিনে কলকাতার চিৎপুরে যাত্রাপাড়া থেকে শুরু করে জেলার যাত্রা দলের অফিসে উপচে পড়ত পালা আয়োজকদের ভিড়। যদিও পুরনো ঐতিহ্য মেনেই এখনও রথের দিনই শুরু হয় যাত্রাদলের বুকিং। রবিবার বাগবাজারের ফণীভূষণ বিদ্যাবিনোদ যাত্রা মঞ্চে যাত্রার বুকিং এবং অভিনয় শিক্ষার কর্মশালার সূচনা করল পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা অ্যাকাডেমি (Paschim Banga Jatra Academy)
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: প্রতিবছর রথের দিন রথের আনন্দের পাশাপাশি আরও এক বিশেষ আনন্দে মেতে ওঠেন শহরবাসী। যাত্রাপালা। যে উৎসবের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে বাংলার মানুষের কাছে। আর তা হল, রথযাত্রার দিন থেকেই বুকিং শুরু হয় যাত্রাপাড়ায় । এই বছরও তার ব্যতিক্রম নয় ৷ রবিবার যাত্রা মঞ্চে যাত্রার বুকিং এবং অভিনয় শিক্ষার কর্মশালার সূচনা করল পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা অ্যাকাডেমি।প্রতিবছরের মত এবারও রথযাত্রার দিন থেকেই শুরু হয় যাত্রাপাড়ার ব্যস্ততা ৷ রথের দিন থেকে যাত্রাপালার বুকিং শুরু হয়। রবিবার বাগবাজারের ফণিভূষণ বিদ্যাবিনোদ যাত্রা মঞ্চে।
যাত্রার বুকিং এবং অভিনয় শিক্ষার কর্মশালার সূচনা করা করল পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা অ্যাকাডেমি। এদিন এক বর্ণময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা অ্যাকাডেমির তরফে। প্রদ্বীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা অ্যাকাডেমির সভাপতি অরূপ বিশ্বাস। গ্রাম বাংলায় যাত্রাপালার প্রচুর চাহিদা। গত বছর ১৮৫টি পালার বুকিং হয় এবার ২০০টা বুকিংএর লক্ষ্য রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। গ্রাম বাংলার পাশাপাশি শহরবাসীর মধ্যেও যাত্রাপালা দেখার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে বলে জানান মন্ত্রী।
যাত্রাপালাকে গ্রাম বাংলা থেকে শহর, রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যে ও দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে দিতে এদিন ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলের উদ্বোধন করা হয়। এই ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে মানুষের আরও কাছে পৌঁছতে পারবে বাংলার যাত্রাপালা । পাশাপাশি এবছর নতুন নতুন পালা নিয়ে আশাবাদী অভিনেতা থেকে পরিচালক-প্রযোজক প্রত্যেকে।
আরও পড়ুন : পুরীর রত্নভাণ্ডার