ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ মুরগির মাংস পেতে কালঘাম ঝরতে পারে সাধারণ বাঙালির।রবিবাসরীয় খাওয়া পাতে মুরগির মাংস নাও পড়তে পারে। খাসির মাংসের যা দাম তাতে আম জানার হাতে ছ্যাকা লাগার উপক্রম। তবে কেনার সাধ্য থাকলেও শরীরের কথা ভেবে অনেকেই পছন্দ করেন না। সেই জায়গায় মুরগির মাংস তাদের খুবই পছন্দ। সরকারি চাকরির মোটা মাইনে হোক বাবা দিন আনা দিন খাওয়া শ্রমিক হোক, প্রয়েকেই একই লাইনে দাঁড়িয়ে অন্তত মুরগির মাংসটা কিনতে পারেন। কিন্ত যদি বঙ্গে মুরগির মাংসই না পাওয়া যায় তাহলে খাদ্য রসিক বাঙালির পক্ষে বিষয়টি বেশ চাপেরই হবে বৈকি।
আজ থেকেই যদি মুরগির মাংস না পাওয়া যায় তাহলে বেকায়দায় পড়বে রেস্তোরা গুলিও। বেশিরভাগ রেস্তোরায় মুরগির মাংসের একাধিক পদ বানিয়ে থাকেন। চিকেন দো পেঁয়াজা, চিকেন মশলা, চিকেন টিক্কা, চিকেন কাবাব থেকে এগ রোল, চিকেন রোল অথবা চিকেন চাউমিন কিছুই খাওয়া যাবে না। এ যেন মহা বিপদ!
যদি মুরগির মাংস (Chicken Supply Disrupted) বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে নাও পাওয়া যেতে পারে। কারণ মধ্যরাতে মুরগির গাড়ি নিয়ে ফিরছিলেন। অভিযোগ সেই সময় গাড়ি দাঁড় করিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক ‘তোলা’ চাইছিলেন। তবে তাঁর ‘দাবি’ মেটাতে পারেননি ওই গাড়ির চালক। অভিযোগ, তখনই বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। আর এরই প্রতিবাদে বড় সিদ্ধান্ত নিল ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হল মুরগি পরিবহন। এর জেরে বাজারে অধিক দামে মুরগি কিনতে হতে পারে।
গত ১১ই জুলাই মধ্যরাত্রে একটি মুরগির গাড়ি যাচ্ছিল। অভিযোগ ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা থানা এলাকায় পুলিশের দ্বারা আক্রান্ত হয় পোলট্রির গাড়ির চালক। নাম সমীর ঘোষ। তাঁর বাড়ি শালবনীতে। চালকের দাবি তাঁর কাছ থেকে তোলা চাইছিল পুলিশ। তবে অত টাকা না থাকায় নিজের সাধ্য মতো টাকা দিতে চান। কিন্তু এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক।অভিযোগ, টর্চ দিয়ে আঘাত করা হয় সমীরবাবুর মাথায়। ঘটনার পর তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বেলদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেলদা থানার আইসি পরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার এবং নবান্নে মেল মারফত জানান অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। তার উত্তর মেলেনি বলে দাবি অ্যাসোসিয়েশনের।
আরও পড়ুন : মঙ্গলাহাট প্রকাশ্যে তোলাবাজি!