সাংবাদিক : সুচারু মিত্র শনিবার উওপ্ত হয়ে উঠেছিল নিউ মার্কেট চত্বর। স্থায়িত্ব দোকানদারদের সঙ্গে হকারদের হাতাহাতিতে সংঘর্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল নিউ মার্কেটে। ঘটনাস্থলে নামতে হয় পুলিশকেও। প্রায় ২ ঘন্টা ধরে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ চলে।ফুটপাত দখলমুক্ত করতে আগেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata banerjee)। হকারদের একেবারে তুলে দেওয়া সরকারের উদ্দেশ্যে নয়, সেটাও জানানো হয়েছে বারবার।এরই মাঝে কলকাতা পুরসভা বিকল্প ভাবনাও শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই বৈঠক করে পুরসভা (KMC) সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা একটি অ্যাপ তৈরি করবে, যে অ্যাপের মাধ্যমে হকারদের উপর নজরদারি যেমন থাকবে, একই সঙ্গে কত ফুট বা কতটা জায়গার মধ্যে হকাররা বসবে সেটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে ঐ অ্যাপে। এমনকী অনেকক্ষেত্রেই সার্ভে করে দেখা গেছে হকারের ডালা রয়েছে, কিন্তু যার ডালা তিনি ব্যবসা না করে অন্য জনকে ভাড়া দিচ্ছেন।এই সিস্টেম আর চলবে না বলেই স্পষ্টতো পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে। আর এরই মাঝে এবার বার সোমবার কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তথা টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্য দেবাশীষ কুমার (Debasish Kumar) বেরিয়ে পড়লেন নিউমার্কেটে (New Market) ।
সার্ভে করছেন তিনি, আর সেই সার্ভে রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করে দেওয়া হাই পাওয়ার কমিটির কাছে। আর সেখানে রিপোর্টে জানানো হবে নিউমার্কেটের পরিস্থিতি এখন কি রয়েছে। যা কথা হয়েছে সেই অনুযায়ী ৫ ফুটের মধ্যে ডালা লাগাতে হবে। যে ডালা লাগাবেন বা দোকান দেবেন, প্রতিদিন তাকেই দোকান বসাতে হবে। তিনি হবেন সেই ডালার মালিক। ভাড়া দিয়ে অন্য কোন কাজ করা যাবে না বলেই স্পষ্টতোই জানানো হয়েছে।
সোমবার একদিকে নিউমার্কেট, অন্যদিকে হাতিবাগানেও একই রকম ভাবে পৌরসভার তরফে সার্ভে চলে। হকার সমস্যা মেটাতে এক মাস সময় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই এখন তৎপরতা কলকাতায়। একেবারে নিউমার্কেট, গ্রান্ড চত্বর জুড়ে এখন শুনশান ফাঁকা ছবি। নিয়ম তৈরি হবার পর তবেই হকারদের পুনর্বাসন এমনটাই জানা যাচ্ছে পুরসভা মারফত।
আরও পড়ুন : কার্টুনকে হাতিয়ার উচ্চশিক্ষা দফতরের