প্রবীর মুখার্জি, সাংবাদিকঃ প্রতি বছর রথযাত্রা (Jagannath Yatra 2024) উপলক্ষ্যে পুরিতে কয়েক লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। দেশ তো বটেই, বিদেশ থেকেও অনেকে আসেন রথযাত্রায় যোগ দিতে। এছাড়াও সাধারণ পর্যটক তো আছেই। আমাদের আলোচ্য বিষয় অবশ্য পুরির রথ নিয়ে। যে রথে চেপে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি যান সেই রথের নাম নান্দীঘোষ। অগ্রজ বলভদ্রের রথের নাম তালধ্বজ। আর বোন সুভদ্রার রথের নাম দেবদলন বা দর্পদলন বা পদ্মধ্বজ। রথের চাকারও নাম রয়েছে।
নান্দীঘোষের চাকার নাম দারুক।মোট ১৬টি চাকা বিশিষ্ট এই রথ ( Jagannath Roth)।প্রতিটি চাকার ব্যাস ৬ ফুট ৬ইঞ্চি। উচ্চতা ৪৫ ফুট। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে শুরু হয় এই রথ তৈরির কাজ। প্রতি বছরই নতুন করে তৈরি হয় এই রথ । মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে বনদফতরকে চিঠি দিয়ে কাঠ চাওয়া হয়।এরপর শুরু হয় গাছ নির্বাচন।
তিনটি রথের জন্য ৮৮৪টি গাছ লাগে। সেই গাছ নির্বাচনের পর তা পুজো করা হয়। এরপর সোনার কুড়ুল দিয়ে সেই গাছের গুঁড়ি কাটা হয়। যদিও তার আগে সেই সোনার কুড়ুল জগন্নাথদেবের পায়ে ছুঁইয়ে নিয়ে আসা হয়। সাধারণত নিম এবং হাসি কাঠ দিয়ে তৈরি হয় এই রথগুলি। রথ তৈরিতে ব্যবহার নিষিদ্ধ।
রথ তৈরির কাজে নিয়োজিত সেবাইতরা এই দুই মাস পুরির বাইরে কোথাও যেতে পারেন না। নিয়ম মেনে খাবারও খেতে হয় তাদের। এই কটাদিন, আমিষ খাবার তো নয়ই। একাদশী ব্রত পালনও করতে হয় কারিগরদের। অর্থাৎ ব্রহ্মচর্যের মতোই থাকতে হয় । রথ তৈরির সময়কালে কেউ যদি আহত বা অসুস্থ হয়ে পড়েন, তিনি আর সেই বছর রথ তৈরির কাজে লাগতে পারেন না।
আরও পড়ুন : জগন্নাথ দেবের রান্নাঘরের কতকথা