ভারতের বীর ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের কাহিনি এখন জানে গোটা দেশ। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ( Draupadi Murmu) হাত থেকে কীর্তিচক্র নিয়ে প্রয়াত অংশুমানের স্ত্রী স্মৃতি যা যা বলেছিলেন তা শুনে কেঁদে উঠেছিল গোটা দেশ তবে এই মুহূর্তে অংশুমানের মা বাবা যে অভিযোগ সামনে আনছেন তাতে করে কি আঙ্গুল উঠতে চলেছে স্মৃতির দিকে?
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: গত ৫ জুলাই মরণোত্তর সম্মান কীর্তি চক্র তুলে দেওয়া হয় প্রয়াত ক্যাপ্টেন অংশুমানের মা এবং স্ত্রীর হাতে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সেই সম্মান তুলে দেন ক্যাপ্টেনের পরিবারের হাতে। তবে অংশুমানের মা বাবা অভিযোগ করলেন তাদের একমাত্র ছেলের সবটুকু নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন স্মৃতি।
ভারতের বীর ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের কাহিনি এখন জানে গোটা দেশ। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে কীর্তিচক্র নিয়ে প্রয়াত অংশুমানের স্ত্রী স্মৃতি যা যা বলেছিলেন তা শুনে কেঁদে উঠেছিল গোটা দেশ তবে এই মুহূর্তে অংশুমানের মা বাবা যে অভিযোগ সামনে আনছেন তাতে করে কি আঙ্গুল উঠতে চলেছে স্মৃতির দিকে?
একমাত্র ছেলে চলে গিয়েছেন না ফেরার দেশে, আর তার ওপর ছেলের বউ স্মৃতিও তাদের সঙ্গে নাকি থাকেন না। তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তার বেশিরভাগ অধিকারই তিনিই স্মৃতি। এই মুহুর্তে অংশুমানের বৃদ্ধ বাবা-মায়ের কাছে ছেলের একটিই জিনিস পড়ে আছে, তা হল দেওয়ালে ঝোলা ছেলের একটি ছবি। আর এখানেই প্রশ্ন তুলছেন তার মা বাবা। ছেলের বউ তো তাদের দেখেন না, তাদের সঙ্গে থাকেন না তাহলে সে কেন সব অধিকার পাবে? আর যারা মা বাবা তারা কেন সব থেকে বঞ্চিত হবে! তাই, সেনাদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তার নিয়মে বদল চাইলেন শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের বাবা-মা।
অংশুমানের মরণোত্তর সম্মান কীর্তি চক্র,, তার সব ছবি, নথি এবংযাবতীয় সবকিছু সঙ্গে নিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ তুলছেন স্মৃতির শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। প্রয়ার ক্যাপ্টেনের বাবা রবি প্রতাপ সিংহ জানিয়েছেন, পুত্রবধূ তাদের বাড়ি ছেড়ে শুধু চলে যাননি, নিজের স্থানীয় ঠিকানাও বদলে নিয়েছেন।
তাদের আরও অভিযোগ যখন অংশুমানকে মরণোত্তর কীর্তি চক্র দেওয়া হল স্ত্রী স্মৃতি এবং তার মা তাগ্রহণ করে। কিন্তু আক্ষেপ এটাই যে পুত্রের মরণোত্তর সম্মানকে ছুঁয়েও দেখার সুযোগ হল না।মা-বাবার। রাষ্ট্রপতি ভবনে ৫ জুলাইয় সম্মানপ্রদান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্মৃতির বিরুদ্ধে ক্যাপ্টেনের মা মঞ্জু সিংহ বলেন, “৫ জুলাই সম্মানপ্রদান অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। যখন অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে আসছিলাম, সেনা অফিসারদের অনুরোধে ছেলের মরণোত্তর সম্মান ছুঁয়ে দেখেছিলাম। কিন্তু তার পরই স্মৃতি আমার হাত থেকে সেই সম্মান নিয়ে নেয়।”
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য কর্মরত অবস্থায় কোনও ভারতীয় সেনার মৃত্যু হলে, নিয়ম অনুযায়ী তার পরবর্তী আত্মীয় যাকে ইংরাজিতে নেক্সট টু কিন বলা হয়, তিনিই আর্থিক সহায়তা পান। আর সেই অনুযায়ী সবকিছুই পেয়েছেন স্মৃতি। আর এবার আর্থিক সহায়তার এই মানদণ্ডে পরিবর্তন চাইছেন শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমানের বাবা-মা, রবিপ্রতাপ সিং এবং মঞ্জু সিং।
আরও পড়ুন : মোবাইল পকেট বই