সাংবাদিক : সুচারু মিত্র : উত্তরপ্রদেশে ভোলেবাবার পদধূলি নিতে গিয়ে পদপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু ১২১ জনের। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার দায় কার?.. তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
হাথরাসে পদপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলেও প্রতিক্রিয়া হতে শুরু করেছে। সৎসঙ্গের একটি অনুষ্ঠান ছিল হাথরাসে। আর সেই হাথরাসেই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যান ভক্তরা। আর সেখানে তাদের প্রিয় ভোলে বাবার পদধূলি নিতে গিয়ে হুড়োহুড়ির জেরে পদপৃষ্ঠ হয়ে যান অনেকেই। মৃতের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১২১। সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।
তবে এত বড় মাপের অনুষ্ঠান সেখানে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী কি ছিল?.. তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনার পর কেটে গেছে বেশ কয়েকটা ঘন্টা, তবে যে ধর্ম গুরুর পদধূলি নেওয়ার জন্য এত হুড়োহুড়ি ছিল, সেই ভোলে বাবার খোঁজ মিলছে না। ভোলে বাবা সেই সঙ্গে তার যে প্রকৃত নাম সুরোজ পাল,তিনি এখন নিখোঁজ, এমনটাই জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে। বেঘোরে যে ১২১ জনের মৃত্যু হল, তার দায় কার?.. মঙ্গলবার বিকেলে উত্তরপ্রদেশে সৎসঙ্গ তথা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষ। আর সেখানেই স্বঘোষিত ধর্ম গুরুর কাছে আশীর্বাদ নিতে গিয়েই এই ঘটনা। ঘটনাস্থলে এখনো উদ্ধার কার্য চলছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারের জন্য দু লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।