সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই আবারও সংঘর্ষ উপত্যকায়। এবার ঘটনাস্থল জম্মু- কাশ্মীরের ডোডা জেলা। জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর সূত্র মারফত পেয়ে সোমবার রাত পৌনে আটটা নাগাদ জঙ্গিদের খোঁজে যৌথ অভিযান চালাচ্ছিল ভারতীয় সেনার রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের জওয়ানরা। দেসার জঙ্গলে ওই অভিযান চলার সময়ে হঠাৎ করেই গুলি-পাল্টা গুলির লড়াই শুরু হয়। ১ সেনা অফিসারসহ ৪ ভারতীয় সেনা জওয়ান এবং ১ পুলিশ কর্মী আহত হন। ২০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চলে গুলির লড়াই। গুরুতর জখম অবস্থায় আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয় না। হাসপাতালেই মারা যান ৪ জন। এখনও অভিযান চলছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি সেনা ও পুলিশ। সন্ত্রাসীরা এখনও কয়েক জন লুকিয়ে রয়েছে বলে অনুমান নিরাপত্তা বাহিনীর।
সোমবার রাতে এই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৬ নম্বর কর্পস। সন্ত্রাসবাসীদের পাল্টা জবাব দেয় সেনাবাহিনী। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা মেজর ব্রিজেশ থাপা শহীদ হন এই গুলির লড়াইয়ে। জইশ-ঈ-মহম্মদের জঙ্গি সংগঠন এই হত্যালীলার দায় স্বীকার করেছে। এক সপ্তাহে পর পর ২ বার জঙ্গি হামলার ঘটনায় চিন্তিত জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, কমপক্ষে ৬০ জন জঙ্গির উপস্থিতি রয়েছে কাশ্মীরে। জম্মু-কাশ্মীরের ১০ জেলায় ছড়িয়েছে আতঙ্কের ছায়া।
আরও পড়ুন : বৃষ্টির অভাবে ইলিশ অমিল