ইজরায়েল হামাস যুদ্ধের অগ্নিতে ঘৃতাহুতি। খতম হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে। অভিযোগের আঙুল প্রতিপক্ষ ইজরায়েলের দিকেই। মঙ্গলবারই ইরানের রাজধানী তেহরানে এসেছিলেন হামাস প্রধান। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই এই সফরে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সফর শেষ হওয়ার আগেই নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একান্তে বৈঠকও করেছিলেন ইসমাইল। তারপরে বুধবার সেই তেহরানেই, স্থানীয় সময় রাত ২ টো নাগাদ হঠাত্ নিহত হলেন হামাস প্রধান। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিমান হানা কিংবা ক্ষেপণাস্ত্রের হামলাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অথচ এই ইরানকে ইসমাইল এতটাই নিরাপদ মনে করতেন যে, হামাসের মাথা হওয়ার পরে ১০-১৫ বার সফর করেছিলেন সেই দেশে। তবে এই ঘটনার পর ইরান বলেছে, ইসমাইলের রক্ত ব্যর্থ হবে না। হামাস প্রধানের প্রাণহানি বিশ্ব মানচিত্রে যুদ্ধের আশঙ্কা আরও তীব্র করছে বলেই মত ওয়াকিবহালমহলের।
গত বছর ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে হামলা চালিয়েছিল হামাস। এরপর যুদ্ধের জল গড়িয়েছে দীর্ঘ পথ। নির্বিচারে প্রাণ গিয়েছে দু-তরফেই। বারবার উত্তপ্ত হয়েছে গাজা। বারবার প্রতিশোধ নিয়েছে ইজরায়েল। হামাসদের সমূলে উত্পাটিত করতে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে কত নিরপরাধী শিশু ও মহিলাকে। এরপরও হত্যালীলা থামায়নি তারা। তবুও হামাসকে শেষ করতে পারছিল না ইজরায়েল সেনাবাহিনী। অবশেষে হামাস প্রধানই খতম। ইসমাইল হানিয়ের মৃত্যুর পিছনে ইজরায়েলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে হামাস প্রধানের মৃত্যু গত বছর ৭ অক্টোবরের ঘটনার পরই হামাস প্রধানকে খতম করার হুমকি দিয়েছিল ইজরায়েল। হামাসকে ধ্বংস করে দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তারা। ফলে হামাস প্রধানের হত্যাকে গত বছর ৭ অক্টোবরের প্রতিশোধ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিকমহল।
হামাস ও ইরানের ইসলামিক রেভেনিউশনারি গার্ডস কর্পসের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে-র বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ‘জিওনিস্ট’রা। হামলায় ইসমাইল ও এক দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছর ২০ মে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তাতেও অনেকেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজেছেন।
এতদিন কাতার থেকেই হামাসের যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন ইসমাইল হানিয়ে। তাঁর মৃত্য়ুতে হামাস গোষ্ঠী যে বড় ধাক্কা খাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন : কবে খুলতে পারে উৎসশ্রী পোর্টাল? এবার রাজ্যের কাছে সেই তথ্য তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।