অনুসূয়া দাস,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে বাম পথিকের থামল লড়াই। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শোকস্তব্ধ সিপিএম নেতৃত্ব। শুধুই যে বাম মহলে শোকের ছায়া তা নয়, আইকনের মৃত্যুতে অভিভাবকহীন হল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের মুজাফ্ফর আহমদ ভবন। পাম অ্যাভিনিউতে দু কামরার স্যাঁতসেঁতে ঘর বড় প্রিয় ছিল কমরেডের। তাঁর ভালোবাসার তালিকায় প্রথমেই রয়েছে সাদা অ্যাম্বাসাডর। তবে এসবের পাশাপাশি তাঁর ভালোলাগার তালিকায় ছিল আরও বেশ কিছু অ্ভ্যাস।
কী খেতে ভালোবাসতেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য?
তেলেভাজা, নোনতা, মাছ খেতে বড় ভালোবাতেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। শোনা যায় ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজের এক সম্মেলনে ভরপেট খাওয়ার পরেও ফেরার পথে গাড়ি থামিয়ে দই, নিমকি খেয়েছিলেন বুদ্ধবাবু।যে কোন পরিস্থিতি বা সময়ে তেলেভাজায় না কখনই শোনা যেত কমরেডের মুখে ক্ষমতায় থাকাকালীন বহুবার উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবারই খোঁজ নিয়েছেন কোচবিহারের দেশি আলুর সম্বন্ধে। মেনুতে পাতে সেই আলুর পদ থাকতেই হবে, এমনটাই আবদার করতেন তিনি।
খেতে ভালোবাসতেন নুনিয়া চাল ভোগ। উত্তরবঙ্গের অতি জনপ্রিয় বোরেলি মাছ যে তিনি পছন্দ করেন. তা বহুবার শোনা গেছে তাঁর মুখে। এর পাশাপাশি কুচো মাছ খেতে বড়ই ভালোবাসতেন তিনি। বুদ্ধবাবুর প্রিয় পোশাক তরুণ বয়স থেকেই সাদা পাঞ্জাবী ও ধুতির প্রতি একটা আলাদাই দুর্বলতা ছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। পোশাক নিয়ে রয়েছে তাঁর নানান গল্প।
কোন খেলা বেশি পছন্দের ?
অন্যান্য খেলাও তিনি দেখতেন। তবে তারমধ্যে ক্রিকেট ছিল প্রিয় । তিনি নিজেও একজন ভালো ক্রিকেটার ছিলেন। সময় সুযোগ পেলেই হাতে তুলে নিতেন ব্যাট। হাঁকাতেন ছক্কা। রাজনীতি করার সময় বেশ কয়েকবার ছাত্র যুব ক্রিকেট ম্যাচে খেলেছেন বুদ্ধবাবু।
অবসর সময়ে কী করতেন ?
অবসর সময়ে বই পড়তে ভালোবাসতেন তিনি। লিখেছেন অনেক বই। তাঁর পড়ার টেবিলে থাকে থাকে সাজানো থাকত মার্কস, এঞ্জেলস, লেনিন, রবীন্দ্রনাথ, শেক্সপিয়রের বই। কফি হাউসে সাহিত্য, বই নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিতেন কমরেড।