আবারও বিপর্যয় কেদারে। বুধবার রাতে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে কেদারের লিনচোলি এবং ভীমবলীর মাঝে হাঁটাপথে প্রায় ২ হাজার তীর্থযাত্রী আটকে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: অবিরাম বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনে করা হচ্ছে, এদের মধ্যে ৩৭ জনই উত্তরাখণ্ডের। বাকিরা হিমাচল প্রদেশের। দুই জায়গাতেই অসংখ্য বাড়ি ধসে পড়েছে। খোঁজ মিলছে না বহু লোকের। যদিও নিখোঁজের সংখ্যাটা সঠিক ভাবে কেউই বলতে পারছেন না। দু’জায়গাতেই উদ্ধারকারী দল নামানো হয়েছে। তুলনায় ক্ষয়ক্ষতির হার অনেক বেশি উত্তরাখণ্ডে। বৃষ্টি, হড়পা বান আর ধসের ধাক্কায় সেখানে আটকে পড়েছেন কয়েক হাজার তীর্থযাত্রী।
বুধবার থেকেই মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরাখণ্ডে। আর এর জেরে হু হু করে বাড়ছে মন্দাকিনী নদীর জলস্তর। এই প্রবল মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে কেদারনাথ যাওয়ার ভীম বালি এলাকার ৩০ মিটার রাস্তা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত কংক্রিটের একাধিক সেতু।
কেদারের পাশাপাশি পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে হিমাচলপ্রদেশেরও। প্রবল বৃষ্টিতে বিপাশা নদীতে বাড়ছে জলস্তর। কুলুতে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সিমলা, মান্ডি ও কুল্লুর। ইতিমধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই ভয়াবহ বৃষ্টির ফলে বিপর্যস্ত হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বলেন, ”উদ্ধারকাজ চলছে জোরকদমে। যে সমস্ত এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি লোক নিখোঁজ, সেখানে সশরীরে পর্যবেক্ষণে যাচ্ছি। যদি রোদ ওঠে এবং আবহাওয়া অনুকূল হয় তবে উদ্ধার অভিযান আরও দ্রুতগতিতে চলবে।”