ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক: বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য মামলা কারীদের পক্ষের আইনজীবী এই ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিক আদালত।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী আমিতেস ব্যানার্জি জানালেন মামলাকারিদের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছিল হাসপাতালের পক্ষ থেকে পরিবারের কাছে ফোন করা হয়েছিল। এবং টালা থানার পক্ষ থেকেও ফোন করা হয়েছিল চিকিৎসকের বাড়িতে। সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে। সেই সময় আর জি কর হাসপাতালে কয়েকশো চিকিৎসক গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করে।
সোদপুর থেকে মৃত ছাত্রীর মা বাবা টালা থানায় আসেন। আর জি কর হাসপাতালে সেমিনার হলে পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা পৌঁছে যায়। ওত বড় সেমিনার হলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁরা দেখেন একটি সবুজ রঙের কাপড়ে মোড়া চিকিৎসকের দেহ। ১.২০মিনিটে আর জি কর হাসপাতালে পৌঁছায় চিকিসাকের মা বাবা। সেই সময় হাসপাতালের ভেতরের পরিস্থিতি যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাবা মায়ের উপস্থিতে পুলিশ, অন্যান্য চিকিৎসক জানান জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিতে ৩.৫৫ সময় লিখিত দেন বাবা। তাদের দাবি করেন সেই মতো পুলিশ। শিয়ালদহ আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪.৩০ মিনিটে আসেন। এবং ময়না তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পুর ঘটনা ভিডিও গ্রাফি করা হয়েছে।
মা ময়না তদন্তের রিপোর্ট নেন। ময়না তদন্তের যারা যাঁরা উপস্থিত তাদের উপস্থিতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেহ সেমিনার হলের বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। ময়না তদন্তের শেষে মৃত চিকিৎসকের মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ অসভাবিক মৃত্যু হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছিল।
সুপারেনটেনডন্ট ও প্রিন্সিপাল কি কোন অভিযোগ দায়েরই করেনি? এটা কি করে সম্ভব? এটা বিশ্বাস যোগ্য? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। রাজ্য সরকারের দায়িত্ব কি তাহলে?
প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন পুলিশ ও হাসপাতলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন প্রিন্সিপাল ও সুপারেনটেনডেন্ট অভিযোগ করলেন না?
কত মানুষ কে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? ২৭জন কে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানায় সরকার পক্ষের আইনজীবী।
প্রধান বিচারপতি টালা থানার পক্ষ থেকে জানার পর পুলিশের অধিকারীদের ভূমিকা কি ছিল?
সরকার পক্ষের আইনজীবী জানায় পুলিশ তদন্তে খুশি। আদালত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রেপিড একশন ফোর্স চিকিৎসকদের মারধর করেছে।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখন মানুষের মোবাইলে ঘুরছে। সেখানে মৃত চিকিৎসকের নাম, বাবার নাম, বাড়ির ঠিকানা সব যেখানে গোপনীয়তা থাকার দরকার সেগুলো সমস্ত মিডিয়ায় ঘুরছে। এটা পুলিশের পক্ষ থেকে নয়, মৃত চিকিৎসকের পরিবারের পক্ষ থেকে ছড়ানো হয়েছে বলে দাবি সরকারি আইনজীবীর।
এখন পর্যন্ত প্রিন্সিপল কে কেন জিজ্ঞাসাবদ করা হলো না।
বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য মামলা কারীদের পক্ষের আইনজীবী এই ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিক আদালত।