রিয়া দাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর হঠাত্ই ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে চিনের তিনটি চরজাহাজ। আন্তর্জাতিক জলসীমায় থাকা ওই তিনটি জাহাজের পরবর্তী গন্তব্য বঙ্গোপসাগর কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্য়েই জল্পনা তৈরি হয়েছে। শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পূর্ব থেকে শুরু করে মূল ভারতীয় ভূখণ্ড এবং আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মাঝামাঝি আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করছে শিয়াং ইয়াং হং ০৩, জোং শান ডা শু এবং ইউন ওয়াং ৭ নামে তিনটি চিনা জাহাজ। এরমধ্যে জোং শা ডা শু চিনের ‘’সামুদ্রিক গবেষণাগার’ নামে পরিচিত। ১১৪.৩ মিটার দীর্ঘ এবং ১৯.০৪ মিটার প্রস্থ ৬৮০০ টনের জাহাজটি চিনের বৃহত্তম গবেষণা জাহাজ। উপগ্রহচিত্রে ইতিমধ্যেই চিনা জাহাজের অবস্থান চিহ্নিত হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ভারতের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপর নজরদারি করতেই বারবার উপকূলের কাছে আসছে চিনা যুদ্ধজাহাজ। ভারতের কাছে যে বিষয়টি আরও উদ্বেগের, তা হল, অদূর ভবিষ্যতে শ্রীলঙ্কা বা মালদ্বীপের মতো চিনা নজরদারি জাহাজের ঘাঁটি হতে পারে কি বাংলাদেশের কোনও বন্দর বা পোতাশ্রয় ? কারণ, সে দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। গত কয়েক বছরে চিনা নজরদার জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’, ‘হাই ইয়াং ২৪ হাও’, ও ‘শি ইয়ান ৬’ ভারতের প্রতিবেশী দুই দ্বীপরাষ্ট্র, শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা এবং মালদ্বীপের মালে বন্দরে সাময়িক ঘাঁটি গড়েছিল। যা নিয়ে ওই দুই দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপড়েন হয়েছে। কিন্তু হাসিনা সরকারের জমানায় চট্টগ্রাম ও মংল বন্দরে সামরিক কার্যকলাপের সুযোগ পায়নি শি জিনপিং সরকার। চিনের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি বিরাট অঞ্চলের নিকটতম সমুদ্রবন্দর হল চট্টগ্রাম, তাই কুনকিং থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক নির্মাণে আগ্রহ রয়েছে বেজিংয়ের। হাসিনার সময়ে যা সম্ভব হয়নি। ভারতের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপর নজরদারি করতেই চিনা যুদ্ধজাহাজগুলো বারবার উপকূলের কাছে আসছে বলে প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে।
বাড়ছে চিন্তা
এই প্রশ্ন গুলোই উঠেছে, বাংলাদেশে অশান্তির সুযোগ নিয়েই কি ভারতের ওপর নজরদারি চিনের ? চিনা গুপ্তচর জাহাজ ঘোরাফেরা করছে বঙ্গোপসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমানায়। কেন ? কিসের উদ্দেশে চিনা জাহাজের এই টহলদারি ? তাহলে কি চিন ভারতের উপর নজর রাখছে ?