ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: ২০১০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন জানায় উত্তর ২৪ পরগনার চাকরি প্রার্থীরা। সেই মতো ২০১১ সালে লিখিত পরীক্ষা হয়। কিন্তু সেই লিখিত পরীক্ষা পরবর্তী সময় বাতিল হয়ে যায়। যদিও পড়ে লিখিত পরীক্ষা হয় ২০১৪ সালে ১৮ই মার্চ এবং ২০১৪ সালের ১১ই নভেম্বর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education)।
পরীক্ষা নিয়ে একাধিক অভিযোগ থাকায় প্যানেল প্রকাশ করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বলে অভিযোগ।১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) হস্তক্ষেপে প্যানেল প্রকাশ করতে বাধ্য হয় পর্ষদ। কিন্তু সেই প্যানেনে নাম না থাকায় তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চায় চাকরিপ্রার্থীরা।
তথ্যের অধিকার আইনে জানানো হয় মামলাকারীর প্রাপ্ত নম্বর ২৮.৪৫। এরপরেও ফের হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেখানে বলা হয় উত্তর ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২৬০৫০ পদের নতুন করে শূন্যপদ তৈরি করেছে, যার মধ্যে প্রায় ৮০০টি শূন্যপদ ফাঁকা পরে রয়েছে।
বিচারপতি রাজা শেখার মান্থার নির্দেশে ২৪ শে জুন ২০২৪ সালে মামলা-কারীদের প্রাপ্ত নম্বর সহ ৮৭৩ জনের একটি তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন। এবং তাদেরকে শূন্য পদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজা শেখার মানথা।
মামলাকারি সুমিত মুখার্জির পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ৩৪ নম্বর প্যানেল প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ২৮.৪৩ এবং প্যানেলের শেষে নাম থাকা প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ১১.১২ সাধারণ। এবং সর্বশেষ তালিকাভুক্ত নম্বর ৭.৩২ অথচ সুমিত মুখার্জির ২৮.৪৫ থাকা সত্ত্বেও প্যানেলে কোথাও তার নাম পাওয়া যায়নি। এবং তাকে কোনরকম নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
বিচারপতি অমৃতা সিনার এজলাসে মামলার শুনানিতে আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান একজন চাকরি প্রার্থী ২৮.৪৫ পেয়েও মেধা তালিকায় স্থান পায়নি। অথচ ১১.১২ নম্বর পেয়েও সে মেধা তালিকায় জায়গা পেয়ে বর্তমানে তিনি চাকরিও করছেন।
বিচারপতি অমৃতাশীনাথ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চান আপনাদের দেওয়া তথ্যই বলছে মামলাকারী বেশি নম্বর পেয়েও স্থান পেলেন না অথচ তার চেয়ে কম নম্বর পেয়েও চাকরি করছেন। আগস্ট এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে হলফনামা জমা দিয়ে জানাতে হবে বেশি নম্বর পেয়েও কেন চাকরিপ্রার্থী নিয়োগপত্র হাতে পেলেন?