অনুসূয়া দাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাদা ধবধবে তার গায়ের রঙ। তার নম্বর প্লেটে জ্বলজ্বল করছে WB06002 নম্বর। এই গাড়ির সঙ্গে যার উপস্থিতি বোঝা যেত, তিনি হলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। এই গাড়ি পাম অ্যাভিনিউতে দাঁড়ালেই বোঝা যেত বুদ্ধদেববাবু এসেছেন। সে এক বা দুদিনের কথা নয়। সেই ১৯৯১ সাল থেকে কমরেডের ছায়াসঙ্গী সাদা রঙা এই অ্যাম্বাসাডর। রাজনৈতিক সমাবেশ কিংবা অন্য যেকোনও ক্ষেত্রে বুদ্ধবাবুর সবসময়ের সঙ্গী ছিলেন সাদা এই গাড়ি।শেষবার যখন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তখনও তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল এই সাদা অ্যাম্বাসাডরটিকে।
২০২৪-র ৮ অগাস্ট প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শেষ নিশ্বাসের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভিড়ে ছেয়ে যায় পাম অ্যাভিনিউয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চত্বর। রাজনৈতিক থেকে শিল্পী মহলের একাধিক কলাকুশলীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। তবে এত ভিড়ের মাঝে ঠায় একলা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সাদা অ্যাম্বাসাডারটি। এই গাড়িতে আর চড়বেন না সাদা ধবধবে পা়ঞ্জাবী ও ধুতি পড়া বুদ্ধবাবু। তিনি যে পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে। তবে থেকে গিয়েছে তাঁর সঙ্গী। বুদ্ধবাবুর অনুপস্থিতি যিনি সবথেকে বেশি অনুভব করছেন, তিনি হলেন, তাঁর গাড়ির চালক সত্য ঘোষ। হাপুস নয়নে কাঁদতে কাঁদতে শুধু বললেন এভাবে চলে গেলেন ?
আর গড়াবে না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সাদা অ্যাম্বাসাডরের চাকা। আর বামেদের ডাকা ব্রিগেড মাঠে এই অ্যাম্বাসাডর থেকে নামবেন না কমরেড। চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন তিনি। অভিভাবকহীন হল বামনেতৃত্ব। বুদ্ধবাবুকে হারিয়ে একা হল সাদা এই অ্যাম্বাসাডরটিও।