সহেলী দত্ত, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আরজি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ৯ অগাস্ট আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়া ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে পশ্চিমবঙ্গে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে আরজি কর নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। পরে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা শোনার কথা জানায়। সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়। প্রথমেই জানতে চাওয়া হয় সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে কিনা। ইস্তফা দেওয়ার পর কীভাবে তাঁকে অন্য একটি মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ পদেই বদলি করা হয়। কেন সন্দীপ ঘোষ এফআইআর দায়ের করেনি। তিনি কেন এই ঘটনায় সক্রিয়তা দেখাননি। প্রশ্ন তোলে দেশের শীর্ষ আদালত।
তবে এর উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী জানান, সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আরজিকরের ভাঙচুরের ঘটনায়ও ৩৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। আগামী ২২ আগাস্ট সিবিআইকে তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়েও রিপোর্ট দেবে রাজ্য। আগামী ২৩ অগাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত শুক্রবার থেকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ইতিমধ্যে তার পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি দিয়েছে শিয়ালদহ কোর্ট। অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় একজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকেও সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি বলেন, এই ঘটনা মনের মধ্যে গেঁথে রয়েছে। এই সমাজ পুরুষশাসিত। সেখানে মহিলারা আরও বেশি করে নিশানা হচ্ছেন। এটা দুঃখজনক।