প্রায় দেড় মাস ধরে মহাকাশে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর। হাতে গোনা আর কয়েকটা দিনের মধ্যেই তাঁদেরকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ ৯ দিনের জন্য তাঁরা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গিয়েছিলেন। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল ২ মাস। খাদ্যদ্রব্য সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন ফুরিয়ে আসছে, তেমনই মহাকাশচারীদের শারীরিক সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।
গত ৬ জুন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানটিতে করে মহাকাশে পৌঁছন সুনীতা এবং ব্যারি। ১৪ জুন পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটির ফলে এখনও পর্যন্ত মহাকাশেই আটকে সুনীতা এবং ব্যারি। বোয়িং স্টারলাইনার নামক ওই রকেটের অন্তত ৪টি জায়গা থেকে হিলিয়াম গ্যাস লিক করছে বলে খবর। যদিও নাসার হাত ধরেই ওই মহাকাশযানটি তৈরি হয়েছে। এই নিয়ে নাসা আগে থেকে কেন সচেতন হল না, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। স্টারলাইনারে সমস্যার ফলে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে আশ্রয় নেন তাঁরা। তখন থেকে লাগাতার বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানটিকে সারানোর চেষ্টা করছেন সুনীতা এবং ব্যারি। কয়েকদিন আগে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানটির থ্রাস্টার চালু করা গিয়েছে। তবুও ওই মহাকাশযানে চেপে পৃথিবীতে ফেরাটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে নাসা সূত্রে খবর। তাই সুনীতা এবং ব্যারিকে ফেরাতে স্পেস এক্সের সাহায্য নেওয়ার ভাবনা রয়েছে নাসার। স্পেস ক্রু-৯ অভিযানের আওতায় নভোশ্চরদের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তাই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ভিড় বাড়ার আগেই সুনীতা এবং ব্যারিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে হবে।
নাসা সূত্রে খবর, স্টারলাইনার ক্যাপস্যুলটি স্পেস স্টেশনে সর্বাধিক ৯০ দিন থাকতে পারে। তার পরে ওই ক্যাপসুলের ব্যাটারি শেষ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে মহাকাশে ৫০ দিন কাটিয়ে ফেলেছেন সুনীতারা। এই পরিস্থিতিতে মহাকাশচারীদের শরীরিক সমস্যাও দেখা দিতে শুরু করেছে। দুজনের পেশি শিথিল হয়ে যাচ্ছে বলেও নাসা সূত্রে খবর। হাড়ের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কবে পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন, সেই আশাতেই দিন গুনছেন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি বুচ।