রিয়া দাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কোটা আন্দোলন থেকে বিক্ষোভ শুরু। আর তা থেকে তৈরি হওয়া জনরোষ যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তার নিদর্শন বাংলাদেশ। দেশজুড়ে তৈরি হওয়া বিক্ষোভের মুখে পড়ে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। ভাঙচুর থেকে লুট, কিছই বাদ পড়েনি। শুধু গণভবনই নয়, উত্তপ্ত বাংলাদেশে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ধানমণ্ডিতে থাকা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রহশালা। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট হত্যা করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রহশালা পুড়িয়ে ফেলা ইস্যুকে সামনে রেখেই ১৫ অগাস্ট ফের উত্তপ্ত হতে পারে বাংলাদেশ। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের এক ভিডিও বার্তায়।
সজীবের ভিডিয়োবার্তা
ভিডিও বার্তায় হাসিনা-পুত্র বলেছেন, ‘’বঙ্গবন্ধু দলীয় বিষয় নয়, জাতির পিতা। তিনি না থাকলে বাংলাদেশ পেতাম না। পাকিস্তানের হয়ে থাকতে হত। ১৫ অগাস্ট ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে ফুল দিয়ে আসবেন। দোয়া করবেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য, আমার পরিবারের জন্য। জাতির পিতার স্মৃতিকে বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলার যে ষড়যন্ত্র চলছে, আপনারা-আমার-সবার শ্রদ্ধা নিবেদনই হোক তার প্রতিবাদ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।“ ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ওই ভিডিও বার্তা পোস্ট করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ১১ অগাস্ট রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সামাজমাধ্যমে ভিডিও বার্তাটি পোস্ট করেন তিনি।
দলীয় কর্মীদের বার্তা হাসিনার
দেশ ছাড়ার পর এবার গোপন ডেরা থেকে দলীয় কর্মীদের বার্তা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার। ১৫ অগাস্ট ঢাকায় আসতে হবে সবাইকে। এক ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে শোনা গেল হাসিনা ও তাঁর দলের কর্মীদের কথা। যদিও সেই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আর প্লাস নিউজ ডিজিটাল। হাসিনা-পুত্র জয় ইতিমধ্যেই ধানমণ্ডির জন্য দেশবাসীকে ভিডিওবার্তা পাঠিয়েছেন। যার ফলে ১৫ অগাস্টে ওপার বাংলা উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আরও প্রবল হচ্ছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।
গণপ্রতিবাদ কর্মসূচির আহ্বান
অন্যদিকে আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে তৈরি হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চ। আওয়ামী লীগের এমন জমায়েতের পাল্টা গণপ্রতিবাদ কর্মসূচির আহ্বান করছে অভ্যুত্থানের মূল পক্ষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চ। তাদের সমর্থন করেছে হাসিনা শাসনে কুঁকড়ে থাকা বলীয়ান বিএনপি ও জামাত ইসলামিক-সহ বিভিন্ন সংগঠন। তাদের অভিযোগ, বিদেশি শক্তির মদতে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতা পুনরায় দখল করতে মরিয়া। ফলে ১৫ অগাস্ট ঢাকায় ফের সংঘর্ষের তীব্র আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।