ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক: বিএড (BEd) প্রথম সেমিস্টার ২৩-২ ৭জুলাইয়ের মধ্যে হয়ে যায়। বেকায়দায় পড়ে৬০জন পরীক্ষার্থী। শুক্রবার তাদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
বিভিন্ন কারণে তাঁরা পরীক্ষায় বসতে না পারার কারণ হাই কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল।আগামী ১মাসের মধ্য বাবা সাহেব আম্বেদকর বিশ্ব বিদ্যালয়ের পক্ষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে।
উপস্থিতির হার পর্যাপ্ত না থাকায় প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসতে অনুমোদন দেয়নি বাবাসাহেব আম্বেদকার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ছিলেন প্রায় ৬৫ জন পরীক্ষার্থী। এই মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের থেকে রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা ( Justice Amrita Sinha)।
মামলাকারীদের আইনজীবী এদিন আদালতে জানিয়েছিল, পরীক্ষায় বসার অনুমোদন পেতে অন্তত ১০০ দিনের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম। ওই পরীক্ষার্থীরা ৭৭ দিন উপস্থিত ছিলেন। ফলে উপস্থিতির হার যথাযথ না হওয়ায় তাঁদের থেকে ২৩ দিনের অনুপস্থিতি বাবদ জরিমানা ধার্য করা হয়। সেই জরিমানা নেওয়ার পরও তাঁদেরকে প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। অথচ এমন অনেক পরীক্ষার্থী রয়েছেন, যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিতির নিয়ম মানেননি কিন্তু তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন বাতিল পরীক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফের আইনজীবী বৈষম্যের এই আবেদন যথাযথ কিনা তা জানতে সময় চান। বিচারপতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে সেশন শুরু হওয়ার পর কতগুলি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দিয়েছিল তা নিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে।
সেই রিপোর্টে সেশন চলাকালীন মধ্যবর্তী সময়ে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের সংখ্যাও জানাতে হবে। সেশন চলাকালীন যেসমস্ত কলেজগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল সেখান থেকে সেশনের মধ্যবর্তী সময়ে ভর্তি হওয়া কতজন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তাও আজ আদালতে জানায় বিশ্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।