অনুসূয়া দাস, প্রতিনিধি : অগাস্টের প্রথম দিন থেকেই বদলে যেতে চলেছে বেশ কিছু নিয়ম। তার মধ্যে অন্যতম ফ্যাস্টাগ। ইলেকট্রনিক ট্রোল সংগ্রহ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াই ফ্যাস্টাগ বলে পরিচিত। ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এনপিসিআই দ্বারা পরিচালিত এই ফ্যাস্টাগ। ২০১৯ সালে ভারত সরকার প্রথম এই টোল সংগ্রহ ব্যবস্থা শুরু করে। ন্যাশনাল পেমেন্টস অফ কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া ভারতে খুচরা পেমেন্ট ও সেটেলমেন সিস্টেম পরিচালনার জন্য ফ্যাস্টাগ জোর দেয় কেওয়াইসির উপর। পয়লা আগস্ট থেকে জারি করা হয় বেশ কিছু নির্দেশিকা।
১. ফ্যাস্টাগ পরিষেবা দেয় এমন সংস্থাগুলিকে কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করতে হবে
২. ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে কেওয়াইসি আপডেটের কাজ
৩. তিন থেকে পাঁচ বছরের কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে
৪. ফ্যাস্টাগের সঙ্গে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও চেসিস নম্বর লিঙ্ক করতে হবে
৫. গাড়ি কেনার ৯০ দিনের মধ্যে গাড়ির নম্বর আপডেট করতে হবে
৬. মোবাইল নম্বরের সঙ্গে ফ্যাস্টাগ লিঙ্ক করতে হবে
৭. গাড়ির সামনের ও পাশের পরিষ্কার ছবি আপলোড করত হবে
ফ্যাস্টাগে রেডিও ফিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। গাড়ির সামনের কাচের উপরে থাকে বিশেষ স্টিকার। যার ফলে আরও সুবিধা হয় টোল পেমেন্ট প্রক্রিয়াকরণে। এর ফলে টোলপ্লাজায় যানজটের অসুবিধা অনেকটাই কমে যায়। টোল প্লাজার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ই খুলে যায় পাসিং গেট।
ফ্যাস্টাগ হল গাড়িগুলির জন্য এক প্রি-পেড সুবিধা। যা ভারতজুড়ে বিভিন্ন টোলপ্লাজায় ব্যবহার করা হয়। ফ্যাস্টাগের সঙ্গে লিঙ্ক করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পেমেন্টেরও সুবিধা রয়েছে। প্রায় ৮ কোটিরও বেশি মানুষ যুক্ত হয়েছেন এই ফ্যাস্টাগের সঙ্গে। ফ্যাস্টাগ ভারতের ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ ব্যবস্থায় বিশেষ পরিবর্তন এনেছে।
আরও পড়ুন : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত ছাত্রদের জন্য আলাদা হস্টেল।