অশান্ত বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার দেশত্যাগ প্রধানমন্ত্রীত্ব ত্যাগেও শান্তি আসেনি। শিল্পী থেকে শুরু করে মন্দির রোষের কবলে সবাই। এরই মাঝে সামনে এল নতুন তথ্য। এই মুহুর্তে বাংলাদেশের ঘাড়ে নাকি ১৫ লক্ষ কোটি টাকার দেনা!
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: অবশেষে পতন ঘটেছে এক টানা প্রায় দেড় দশক ধরে চলা আওয়ামী লীগ সরকারের। এই সময়কালেই বাংলাদেশের ঘাড়ে ঋণের বোঝা চেপেছে সাড়ে ১৫ লাখ কোটি টাকা (বাংলাদেশি টাকার হিসাবে)। ভারতীয় মুদ্রায় যা ১০ লাখ কোটি টাকারও বেশি। বাংলাদেশি সংবাদপত্র ‘বণিক বার্তা’র প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে ‘বিবিসি বাংলা’
একাধিক বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়ার পর ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। এ সময়ে সরকারের ঋণ ছিল মাত্র ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। আর পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা যখন দেশ ছেড়েছেন তখন বাংলাদেশের সরকারি ঋণ ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে সরকারের ঋণ বেড়েছে ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ২০৬ কোটি টাকা।
গত দেড় দশক ধরে বাজেটে সরকারের পরিচালন ব্যয় মেটানো ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা বলে দেশি-বিদেশি উৎস থেকে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য কোভিড পরবর্তী সময় থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতির টলমল অবস্থা, যা এখনও স্থিতিশীল হয়নি। সাম্প্রতিক কয়েক মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১০ শতাংশের কাছাকাছি। চলতি বছরের জুনে যখন বাংলাদেশের বাজেট পেশ হয়েছিল, সেখানে মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। গত জুন মাসেই আইএমএফ-এর থেকে ১.১৫ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্য পেয়েছে বাংলাদেশ।
এমতাবস্থায় যখন সরকারের পতন হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুখ ঘোষণা হয়েছে তখনও কিন্তু এই দেনার বোঝা যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের কাছে।