মহম্মদ ইউনুস অশান্ত বাংলাদেশ এর তদারকি সরকারের শীর্ষ পদে বসলেন। কিন্তু তাঁর আগে আরও অনেক নোবেলজয়ী আছেন যারা দেশের শীর্ষ পদে বসে দেশ শাসন করেছেন। তাঁরা কার ও কোন দেশের, এখানে রয়েছে সেই তালিকা।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- নোবেলজয়ী হওয়ার পর যারা দেশের শীর্ষ ক্ষমতায় বসেছেন তারা হলেন,
১) লেস্টার বি পিয়ারসন (Lester B Pearson) ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সুয়েজ খাল নিয়ে কাজ করার জন্য ১৯৫৭ সালে তিনি নোবেল পেয়েছিলেন। তিনি লিবারেল পার্টির সদস্য ছিলেন।
২) লেখ্ ওয়ালেসা (Lech Walesa): ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আদ্যন্ত কমিউনিস্ট বিরোধী এই নেতা ১৯৮৩ সালে নোবেল পান। শ্রমিক সংগঠন ও মানবাধিকার নিয়ে অহিংস আন্দোলন করার জন্য।
৩) আন সাঙ সু চি/কি (Aung San Suu Kyi) সু কি: ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত মায়ানমার সরকারের প্রধান (State Counselor of Mayanmar) ছিলেন। মায়ানমার কে সামরিক শাসন থেকে আংশিক গণতন্ত্রের পথে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। মায়ানমারে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য সু কি যে অহিংস আন্দোলন করেছিলেন, সেই কারণে ১৯৯১ সালে তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
৪) নেলসন ম্যান্ডেলা (Nelson Mandela): ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দক্ষিন আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা। কালো চামড়ার মানুষদের জন্য শান্তিপূর্ণ লড়াই ও দক্ষিণ আফ্রিকায় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। যে কারণে তৎকালীন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ফ্রেডারিক উইলিয়াম ডি’ক্লার্ক (Frederick Williem de Klerk) এর সঙ্গে যৌথভাবে ১৯৯৩ সালে নোবেল পান নেলসন ম্যান্ডেলা।
৫) জোসে রামোস ওর্তা (José Ramos-Horta): ২০২২ সাল থেকে ইষ্ট টিমোর (East Timor) এর প্রেসিডেন্ট পদ সামলাচ্ছেন। এর আগে ২০০৬ থেকে ২০০৭, এক বছর তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তারপর ২০০৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তিনি প্রথম বারের জন্য দেশের প্রেসিডেন্ট হন। ১৯৯৬ সালে তিনি কার্লোস ফিলিপ বেলো (Carlos Filipe Ximenes Belo)-র সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত এঁরা সকলেই প্রথমে নোবেল বিজয়ী হন তারপর দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আসনে বসেন। তবে এমন অনেকেই আছেন যাঁরা প্রশাসনের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় থাকাকালীন বা অবসরের পরেও নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এই তালিকার কয়েকটি নাম হল সাইমন পেরেজ, জিমি কার্টার, বারাক ওবামা, উইনস্টন চার্চিল প্রমূখ।