সপ্তাহের শুরুটা মোটেও ভালো হল না লগ্নিকারীদের জন্য। সোমবার বাজার খুলতেই মুখ থুবড়ে পড়ল শেয়ার বাজার (Stock market crash)। লাগাতার নামছে ধস।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: সোমবারে বাজার খুলতেই ধস। এদিন সকালে বাজার খোলার পরেই ১৪০০ পয়েন্টেরও বেশি পড়ে যায় সেনসেক্সের সূচক। খানিকটা সময় গড়াতে আরও ভয়াবহ হতে থাকে সূচকের পতন। শুধু সেনসেক্স নয় বেহাল দশা নিফটিরও। ২৪ হাজারের ঘরে নেমে যায় নিফটির সূচক।
ওপেনিং বেলেই আজ নিফটি প্রায় ৫০০ পয়েন্ট পড়ে গিয়েছিল। শেয়ার বাজারে লেনদেন শুরু হতে না হতে আজ নিফটি৫০ ২৪ হাজার ২০০-র নীচে নেমে গিয়েছিল। গত শুক্রবার ক্লোজিং বেলে যেখানে নিফটি ২৪ হাজার ৭১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিল, সেখানে আজ নিফটি একটা সময়ে ২৪ হাজার ১৯২.৫ পয়েন্টে নেমে গিয়েছিল।
মার্কিন বাজারে আর্থিক মন্দার জেরেই ভারতীয় শেয়ার বাজারেও ধস নেমেছে। বিগত এক সপ্তাহ ধরে নিফটি৫০ ও বিএসই সেনসেক্সের সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও, এ দিন সকালে বাজার খুলতেই হুড়মুড়িয়ে ধস নামে সেনসেক্স ও নিফটির সূচকে।
ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে লোকসান হয়েছে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের একাধিক সংস্থার। ভয়াবহ অবস্থা রিলায়্যান্স, ইনফোসিস, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, টাটা মোটরস, টাটা স্টিলের শেয়ার। তবে এই অবস্থার মধ্যেও মোটামুটি লাভে যাচ্ছে এশিয়ান পেন্টস, সান ফার্মা, নেসলে, হিন্দুস্তান ফার্মাসিউটিক্যাল।
এই পরিস্থিতিতে শর্ট টার্ম শেয়ার কেনা এবং ফিউচার ও অপশন নিয়ে ছোট লগ্নিকারীদের আবার সাবধান করেছেন বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির কর্ণধার মাধবী পুরী বুচ। তিনি বলেন, ফিউচার ও অপশনের লেনদেনে লগ্নিকারীদের ক্ষতির অঙ্ক বছরে ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ কোটি টাকা। তার পরামর্শ, ফাটকা না খেলে এই টাকা বরং তুলনায় কম ঝুঁকির জায়গায় লগ্নি করা যেতে পারে। যেমন— ফান্ড, আইপিও ইত্যাদি।