রিয়া দাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শেখ হাসিনার শাসনকালে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত সুসম্পর্ক। তবে বাংলাদেশের বর্তমান চিত্র অনেকটাই বদলে গিয়েছে। জনগণের বিক্ষোভের মুখে পড়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তাঁর দেশত্য়াগের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে বদল এসছে। নয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন মহম্মদ ইউনুস। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কোন পথে যাবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। এরই মাঝে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে প্রথম মুখ খুলল বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে ইঙ্গিত দিলেন বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সুসম্পর্কের বার্তা দিয়েছিলেন। ১১ অগাস্ট রবিবার ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তৌহিদ বলেন, ‘’আমি মনে করি ভারত ও বাংলাদেশের সরকারের মধ্যে সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল। মানুষের মনে সেই সম্পর্কের সোনালি অধ্যায় কতটা দাগ কেটেছিল।‘ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘’আমরা চেষ্টা করব যে এই সুসম্পর্কটা শুধুমাত্র দুই দেশের সরকারের মধ্যে নয়, বরং দুই দেশের মানুষের মধ্যে গড়ে উঠুক। বাংলাদেশিরা যেন ভারতকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ভাবে। আমরা সেইদিকে সম্পর্কটাকে নিয়ে যেতে চাই এবং আমরা চাইব ভারত আমাদের সহায়তা করবে। কারও সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক রাখতে চাই না।‘
মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, ‘’আশা করি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। দুদেশের শান্তি সুরক্ষার জন্য ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে। বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে বলে আমরা আশা করছি।‘
চিন প্রসঙ্গেও মুখ খুললেন তৌহিদ
আমরা যেমন ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখব, চিনের সঙ্গেও তেমনভাবে সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করব। ভারসাম্যমূলক এই সম্পর্ক আমরা অতীতেও বজায় রেখেছি। আমরা আমেরিকা-সহ পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গেও সুসম্পর্ক রাখতে চাই। অনেকের থেকেই ইতিমধ্যে সমর্থন পেয়েছি আমরা। মানবাধিকারের বিষয়েও নয়া সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দেবে বলে বার্তা দেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।