ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: আরজি করকাণ্ডের পর রাজ্যের হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচার নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। এবার বিষয়টি নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বস্তুত চলতে থাকা থ্রেট কালচার এবং উত্তরবঙ্গ লবির প্রভাব নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ‘অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। যার সত্যতা থাকলে তা মারাত্মক।’
হাসপাতাল গলিতে চলতে থাকা থ্রেট কালচার সহ একাধিক দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছিলেন চিকিৎসক অর্চিস্মান ভট্টাচার্য ও এক সমাজকর্মী। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি চলাকালীন রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে প্রধান বিচারপতিকে। তিনি বলেন, ‘ অভিযোগ গুরুতর। এমনকি এজন্য উত্তরবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজে আর এম ও, সার্জেন হাউস, স্টাফ সহ মোট চারজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রিন্সিপালের রিপোর্টে তার উল্লেখ রয়েছে।’ চরম বিষয় প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, ‘ একজন মহিলা চিকিৎসক বলছেন, নিরাপত্তার জন্য তাঁকে তাঁর বাবা ছুরি দিয়ে হাসপাতালে পাঠাচ্ছেন! অন্য মহিলা চিকিৎসক আবার পিপার স্প্রে সঙ্গে নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যান। এটা চরম বিস্ময়কর। হাসপাতালের ৬০ শতাংশ মহিলা চিকিৎসক বিভিন্ন ভাবে দুর্ব্যবহারের শিকার হন।’
এদিন শুনানিতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেলের উপস্থিতি প্রয়োজন বলে মনে করেছে আদালত। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই মামলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের উপস্থিত থাকা প্রয়োজন।’ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপাতত রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করেছে বেঞ্চ। ২১ শে নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।