কলকাতার নতুন নগরপাল হলেন মনোজ ভার্মা। ১৯৯৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার তিনি। অন্যদিকে কলকাতার সদ্য প্রাক্তন সিপি বিনীত গোয়েলকে বদলি করা হয় এডিজি এসটিএফ পদে। পুলিশ প্রশাসনের একাধিক পদে রদবদলের পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মত বদল করা হয় দুই স্বাস্থ্য প্রশাসন পদে। সোমবার কালীঘাটে বাসভবনে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপি সহ একাধিক উচ্চ পদস্থ পদের অধিকর্তাদের অপসারণের দাবি জানান হয় তাঁদের তরফে। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে মেল করে রদবদলের আশ্বাসও দেওয়া হয়। বামফ্রন্ট আমল থেকে একাধিক দায়িত্ব সামলেছেন মনোজ ভার্মা। মাওবাদীদের কার্যকলাপ, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার আন্দোলন, ব্যারাকপুরের ভাটপাড়ার গোলমাল খুব সহজে সামলেছিলেন তিনি। জুনিয়র চিকিৎসকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো পুলিশ প্রশাসনের একাধিক পদে রদবদল করা হয় সরকার তরফে। পদ পরিবর্তন করা হয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের পদেও।
ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে মনোজ ২০১৯ সালে দার্জিলিঙের আইজি পদে যোগ দিয়েছিলেন। তার পরে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের দায়িত্বে। তাঁকে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি করা হয় সেই সময়। একটা সময় তিনি উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ব্যারাকপুর) ছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ছিলেন রাজ্য রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। পরে দুর্নীতি দমন শাখার এডিজিও ছিলেন।
২০১৭ সালে রাজ্য পুলিশের পদক পেয়েছিলেন মনোজ ভার্মা। পরে ২০১৯ সালে পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ পদক। মুখ্যমন্ত্রী নিজ হাতে সেই পদক তুলে দেন তাঁর হাতে। ভাটপাড়ায় শান্তি ও স্বাভাবিক অবস্থা পুনরুদ্ধারের করতে সক্ষম হওয়ায় পদক দেওয়া হয়েছিল মনোজ ভার্মাকে ।