ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: শাসকদল বিরোধী কর্মসূচিতে শামিল হওয়ায় এক রূপান্তরকামী শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করার অভিযোগ ওঠে। তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এই মামলায় সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন আপিল কমিটি গঠন করে আবেদনকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগের নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন।
মহার্ঘভাতা, নিয়োগ দুর্নীতি, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন এই শিক্ষিকা। তাঁর আন্দোলনে অংশগ্রহণের ছবি বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তারপরই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ তাঁকে সাসপেন্ড করে। তিনি মহেশতলার গণিপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁকে সাসপেন্ড করার যথাযথ কারণ দর্শাতে পারেনি সংসদ। তাঁর বিরুদ্ধে যে চার্জশিট দেওয়া হয়, সেখানেও যথাযথ কারণ উল্লেখ করা হয়নি। ১৪ মাস পেরিয়েছে। এখনও স্কুলে যোগ দিতে পারেননি তিনি। তাঁর সাসপেনশনের কারণ নিয়ে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে তিনি জানতে পারেন, পর্ষদে যে অভ্যন্তরীণ আপিল কমিটি থাকে তা নেই। আবেদনকারীর তরফে আইনজীবী আনন্দ ফার্মানিয়া ও পুজনকুমার মাইতি আদালতে জানান, যে ধারায় ওই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাতে সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত সাসপেন্ড করে রাখা যায়। কিন্তু ১৪ মাস ধরে স্কুলে যেতে না পারায় বেতন পাচ্ছেন না তিনি। আবেদনকারী শিক্ষিকার অভিযোগ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান শিক্ষা দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্তাদের কাছে পছন্দের পাত্র হতে এই সাসপেন্ড বহাল রেখেছেন। এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, ২০২২ সাল থেকে এই সংক্রান্ত বিষয় শুনে অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য যে আপিল কমিটি থাকে তা নেই। আপিল কমিটির চেয়ারম্যান বদলি হয়ে গিয়েছেন। বিচারপতি সিনহা নতুন আপিল কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।