Icon Icon Icon

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

  • ড্রোন নিয়ে ইজরায়েলে প্রত্যাঘাত ইরানের। ইরানের পরমাণু ঘাঁটিতে আগেই আঘাত হানে ইজরায়েল।
  • ‘বাকরুদ্ধ’, দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে বললেন প্রধানমন্ত্রী। দেখা করেন প্রয়াত বিজয় রূপানির স্ত্রী অঞ্জলি রূপানির সঙ্গেও। 
  • উদ্ধার হলো দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ডিজিটাল ভিডিয়ো ডেকর্ডার।
  • মহেশতলায় যেতে চেয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ শুভেন্দু অধিকারীর।
  • বিজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪১ জন। ৩২ জন MBBS পড়ুয়া। ৫ জন ICU-তে, ১ জন HDU-তে চিকিৎসাধীন।
  • বোয়িং কোম্পানির CEO-কে তলব DGCA-এর। ব্ল্যাকবক্স খোলার জন্য তলব।
  • তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করলেন মহম্মদ ইউনুস।
  • আসানসোলে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে বালি পাচার।
  • বাসন্তীতে বেআইনি অটোর দৌরাত্ম্য। ক্ষতির মুখে বৈধ অটো চালকরা।
  • আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ‘এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠবে ভারত’। বার্তা ট্রাম্পের।
  • বাদুড়িয়ায় আটক ২২ জন রোহিঙ্গা। আটকদের মধ্যে ১২ জন শিশু।
  • ইরানে অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’ ইজরায়েলের। মৃত রেভোলিউশনরি গার্ড ফোর্সের কমান্ডার।
  • দুর্ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ ফরেন্সিক দলের।
  • দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী। সিভিল হাসপাতালে দেখা করলেন আহতদের সঙ্গে। কথা বলেন একমাত্র জীবিত রমেশ বিশ্বাস কুমারের সঙ্গে।
  • দুর্ঘটনাস্থলে এখনও কাজ করছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৬টি দল।
  • প্রয়াত বিজয় রূপানির স্ত্রীর দেখা করেন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি। 
  • বিমান দুর্ঘটনায় প্রয়াত গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। যাত্রীদের তালিকায় ১২ নম্বরে নাম ছিল তাঁর।
  • এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ পাকিস্তানের। শোকপ্রকাশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
  • ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুমিছিল। শোকপ্রকাশে ওয়েবসাইটের রং বদল। টাটা ও এয়ার ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটের রং বদলে হয়েছে কালো।
  • বিমানের ২৪১ জনেরই মৃত্যু, জানাল এয়ার ইন্ডিয়া।
  • AI 171-এর একজন যাত্রীই জীবিত। 11A আসনে থাকা ওই যাত্রীর নাম বিশ্বাসকুমার রমেশ।
  • ১ কোটি টাকা করে দেবে টাটা গোষ্ঠী। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা।
  • বিমানে মোট ২৪২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট এবং ১০ জন ক্রু ছিলেন।
  • দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু বিমানটি। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। 
  • বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাভরওয়াল।৮,২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল তাঁর। ফার্স্ট ক্যাপ্টেন ছিলেন ক্লাইভ কুন্দর। তিনিও ১,১০০ ঘণ্টা বিমান চালনায় দক্ষ।   
  • এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ক্র্যাশের মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • বিমানে ভারতীয়-১৬৯, ব্রিটিশ-৫৩, পর্তুগিজ-৭, কানাডিয়ান-১ যাত্রী ছিলেন। যাত্রীতালিকায় চার শিশুও ছিল।
  • New Date  
  • New Time  
২০৩৮-এ গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষে ধ্বংস হবে পৃথিবী ?

28
September 2024

২০৩৮-এ গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষে ধ্বংস হবে পৃথিবী ?

মাম্পী রায়, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৩ এপ্রিল ২০৩৮, ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী। ১ হাজার ফুটেরও বেশি দীর্ঘ একটি গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে ঘেঁষে যাবে। পৃথিবীর সঙ্গে এর সংঘর্ষ হলে, বিশ্বজুড়ে এমন বিপর্যয় নামবে যা ইতিহাসে কেউ চাক্ষুস করেনি। হিরোসিমায় ফেলা বোমার চেয়ে ১ মিলিয়ন গুণ শক্তিশালী হবে সেই ধ্বংসলীলা। শয়েশয়ে মিটার ঢেউ উঠবে সমুদ্রে। বিশাল লম্বা বিল্ডিংগুলি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।
১২ জুলাই ২০৩৮ সালে একটি বিশাল গ্রহাণুর পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে পারে। ৭২ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে নাসা। নাসার পর ইসরোর প্রধানও এই ঝুঁকির কথা শুনিয়েছেন। মঙ্গলগ্রহে স্থানান্তর করলেই মানুষ প্রাণে বাঁচবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আসুন সমস্তটা বিস্তারিত বোঝার চেষ্টা করি।
গ্রহাণু হল অ্যাস্ট্রয়েড বা প্ল্যানেটয়েড। এটি ছোট গ্রহের মতোই। ১০-২০ কিলোমিটার থেকে ১০০-২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে এই গ্রহাণু। মহাকাশে সবচেয়ে ছোট গ্রহাণু মাত্র ২মিটারের। সবচেয়ে বড় গ্রহাণু হল ৯৪০ কিলোমিটারের।
সৌরজগতে মূলত মঙ্গল এবং বৃহস্পতির কক্ষপথের মাঝে অ্যাস্ট্রয়েড বেল্টে এই গ্রহাণুগুলি অবস্থান করে। অসংখ্য গ্রহাণু রয়েছে সেখানে। পাঠ্যবইতে আমরা গ্রহাণুর যেরকম ছবি দেখি তাতে মনে হয় একে অপরের সঙ্গে ঘেঁষে রয়েছে গ্রহাণুগুলি। কিন্তু আসলে গ্রহাণুগুলির মধ্যে গড় দূরত্ব প্রায় ৬ লক্ষ মাইল বা ১ মিলিয়ন কিলোমিটার। কখনও গ্রহাণুগুলি অ্যাস্ট্রয়েড বেল্ড থেকে ছিটকে গিয়ে পৃথিবীর কাছে চলে আসে। সেক্ষেত্রে নিয়ার আর্থ অবজেক্ট বা এনইওস বলে সম্বোধন করা হয় এদের। এই এনইওসের মধ্যে শুধু গ্রহাণু থাকে ন। এছাড়াও থাকে ধূমকেতু, উল্কা। এরা সবাই পাথরের টুকরো যা মহাকাশে উড়ে বেড়ায়। তবে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য এগুলিকে একে অপরের থেকে আলাদা করে। যেমন-
গ্রহাণু বা অ্যাস্ট্রয়েড পাথর এবং ধাতু দিয়ে তৈরি হয়। ধূমকেতু বা কমেটস বরফ, পাথর এবং ধুলো দিয়ে তৈরি।
অ্যাস্ট্রয়েড বা গ্রহাণু মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মাঝে অ্যস্ট্রয়েড বেল্টে পাওয়া যায়। অন্যদিকে কমেট বা ধূমকেতু কাইপার বেল্টে পাওয়া যায়, যা নেপচুনের সামনে থাকে।
কমেট বা ধূমকেতু যখন উড়ে যায় তখন এর পিছনে একটি লেজ দেখা যায়। ধূমকেতু ১ থেকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। যা পৃথিবী থেকেও মানুষ দেখতে পারেন। কিন্তু গ্রহাণুকে খালি চোখে দেখা যায় না, এর জন্য টেলিস্কোপের প্রয়োজন।
গ্রহাণুর থেকে ধূমকেতু অনেক বেশি বিপজ্জনক। প্রথমত ধূমকেতুর গতি গ্রহাণুর থেকে অনেক বেশি হয়। দ্বিতীয়ত সতর্কবার্তার সময়সীমাও অনেক কম হয়। কখন কোন ধূমকেতুর পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হবে, যার পূর্বাভাস অনেক আগে দেওয়া সম্ভব নয়। ডোন্ট লুক আপ ছবিতেও এই বিষয়টাই তুলে ধরা হয়েছিল। ছবিতে দেখানো হয়েছে, ৬মাসের মধ্যে একটি ধূমকেতুর পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে চলেছে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়। সরকার এবং মহাকাশ সংস্থা সেক্ষেত্রে কী করে তাই দেখানো হয়েছে ওই ছবিতে।
মিটিওরয়েড বা উল্কা হল গ্রহাণুর টুকরো। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে প্রবেশ করে এবং জ্বলতে থাকে। প্রচুর পরিমাণে থাকলে এগুলিকে বলা হয় মিটিওর শাওয়ার। মিটিয়র বা উল্কাপিণ্ড অনেকসময় পৃথিবীর মধ্যে পড়লে তাকে বলে মিটিওরাইটস। যা পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে মানবজাতি ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে। যা ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ডায়নোসরের সঙ্গেও হয়েছিল।
কিন্তু ইনস্ট্রাগ্রাম এবং ফেসবুকে অনেক খবরই ভুয়ো পাওয়া যায়। ২০৩৮ সালের ১২ জুলাই গ্রহাণু এবং পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষে পৃথিবীর ধ্বংস হওয়ার খবরও ভুয়ো।
দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, নাসা সতর্ক করছে, একটি গ্রহাণুর পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে পারে, যার ৭২শতাংশ ঝুঁকি রয়েছে। যার খানিকটা নীচেই পুরোটা স্পষ্ট করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, নাসা একটি অভিযান চালিয়েছে, যাতে খতিয়ে দেখা হয়েছে যদি একটি গ্রহাণুর পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে আমরা কতটা প্রস্তুত।
একটি হাইপোথেটিক্যাল এক্সারসাইজের মাধ্যমে নাসা খতিয়ে দেখছিল, যদি ১৪ বছর পর একটি গ্রহাণুর পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে আমরা কী করতে পারি। একটি মক টেস্টে শতাধিক বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করেন। নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি, ইউকে স্পেস এজেন্সি,, ইউনাইটেড নেশন অফিস অফ স্পেস অ্যাফেয়ার্সের মতো একাধিক মহাকাশ সংস্থার বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন সেই সমীক্ষায়। ২০২৪-এর ২০ জুন নাসা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়-
১হাজার ফুটেরও বড় একটি গ্রহাণু রয়েছে। যা ২০২৯-এর ১৩ এপ্রিল পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে। পৃথিবীর থেকে এর দূরত্ব থাকবে মাত্র ৩১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার। ৫বছর পর এটি যখন পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে, তা খালি চোখেই দেখতে পারবে মানুষ। কিন্তু এর কি পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হবে ? সংঘর্ষ হলে তার ঝুঁকি কতটা ?
উত্তর হল- শূন্য শতাংশ।
২০০৪ সালে যখন এই গ্রহাণুটিকে প্রথমবার আবিস্কার করা হয়েছিল। তার নামকরণ করা হয়েছিল অ্যাপোফিস। বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। প্রথম পর্যবেক্ষণে বিশেষজ্ঞরা জানান, ওই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের ঝুঁকি ২.৭শতাংশ। পরবর্তীকালে বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ ২০২৯ নয় ২০৩৬ বা ২০৬৮সালেও পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে গ্রহাণুটি। পরবর্তীকালে সেই ঝুঁকি আর নেই। নাসা জানিয়েছে, আগামী ১০০ বছরেও গ্রহাণুটির পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের কোনও সম্ভাবনা নেই। সেজন্য নিয়ার আর্থ রিস্ক লিস্টের থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে গ্রহাণুটিকে। প্রশ্ন হল কী এই রিস্ক লিস্ট ?
ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সির ওয়েবসাইটে গেলেই তার উত্তর পাওয়া যায়। কোন গ্রহাণু এবং কোন ধূমকেতুর কখন পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হবে, তার উল্লেখ পাওয়া যায় ওই ওয়েবসাইটে। সেগুলি কতটা বড় এবং এর সংঘর্ষের সম্ভাবনা কতটা, তাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই ওয়েবসাইটে। ডেটা সায়েন্সের মাধ্যমে সেই পর্যবেক্ষণ করেন বিশেষজ্ঞরা।
2023VD3 – ১১-২৪ মিটার বড়। ৮ নভেম্বর ২০৩৪ পৃথিবীর কাছ দিয়ে যেতে চলে চলেছে এই গ্রহাণু। পৃথিবীর সঙ্গে এর সংঘর্ষের সম্ভাবনা – ০.২৫ শতাংশ
দৈর্ঘ্যে ছোট হওয়ায় খুব বেশি ঝুঁকি নেই। মনে করা হচ্ছে, পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হলেও তা গিয়ে পড়বে সমুদ্রে। যেখানে খুব বেশি মানুষের বসবাস নেই। তাই ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
২০১৩ সালে রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্ক শহরে এমনই একটি ধূমকেতু উড়ে এসেছিল। প্রায় ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ধূমকেতু ছিল সেটি। প্রায় ১ হাজার মানুষ আহত হয়েছিলেন। যদিও কারোর মৃত্যু হয়নি।
রিস্ক লিস্টে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে 1979XB. ৪০০ থেকে ৯০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই গ্রহাণুটি ২০৫৬ সালের ১২ ডিসেম্বর পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে। পৃথিবীর সঙ্গে এর সংঘর্ষের ঝুঁকি রয়েছে ০.০০০০২শতাংশ।
কখন এধরণের গ্রহাণুর পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে পারে, সেই পূর্বাভাস মিলতে পারে। বেশ কয়েকরকম ডিটেকশন প্রজেক্টের মাধ্যমে এই পূর্বাভাস মেলে। তার মধ্যে অন্যতম –
লিনিয়ার- ১৯৯৬ সালে এর পথচলা শুরু। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বায়ুসেনা, নাসা এবং এমআইটির যৌথ উদ্যেগে তৈরি হয়। মোট ৩টি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এটি প্রতিবছর ১০হাজারেরও বেশি অবজেক্ট আবিস্কার করে। পৃথিবীর কাছে থাকা যেসমস্ত গ্রহাণুদের সন্ধান মিলেছে, এর মধ্যে ৬৫শতাংশ লিনিয়ারের মাধ্যমে আবিস্কার করা হয়েছে।
সিএসএস বা ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে – ১৯৯৮ সালে ইউভার্সিটি অফ অ্যারিজোনার তৈরি এই ডিটেকশন প্রজেক্টর। ২টি বড় টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এটি। ২০০৮ সালে একটি ৪মিটারের গ্রহাণু আবিস্কার করা হয়েছিল সিএসএসের মাধ্যমে। কখন, কবে এবং কোথায় এটি পৃথিবীতে পড়বে, সেই পূর্বাভাস দিয়েছিল সিএসএস। পূর্বাভাস মেনে এটি নর্থ সুদানের মরুভূমিতে গিয়ে পড়েছিল।
তৃতীয় হল প্যান স্টার্স। প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে হাওয়াইতে রয়েছে সিস্টেমটি। যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করে গ্রহাণুদের আবিস্কার করে।
চতুর্থ হল অ্যাটলাস যা হাওয়াইতেই রয়েছে। এটি মূলত ফাইনাল ওয়ার্নিং দেওয়ার জন্যই তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। যখন কোনও গ্রহাণু অন্যান্য সিস্টেমের নজর এড়িয়ে যায়, তখন সর্বশেষ সতর্কবার্তা দেয় অ্যাটলাস। প্রতি রাতে পুরো আকাশকে দুবার স্ক্যান করতে পারে এটি। যার ফলে এধরণের মহাজাগতিক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়।
পৃথিবীতে এমনই একাধিক সিস্টেমের মাধ্যমে মহাজাগতিক বিপর্যয় ঠেকানো যায়। কিন্তু মেশিনে সমস্যা হতেই পারে। ঠিক যেমন হয়েছিল ২০১৩ সালে। রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্ক শহরে একটি ধূমকেতু উড়ে আসায় প্রায় ১ হাজার মানুষ আহত হয়েছিলেন। ২০মিটারের এই ধূমকেতুটিকে কোনও সিস্টেমের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায় নি। সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সিভিল ডিফেন্স কম্পোনেন্ট। মক টেস্টের একটি রিপোর্টে নাসা জানিয়েছে, কোনও ছোট গ্রহাণু বা ধূমকেতুর পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের উপক্রম হলে, ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশনের সাথে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর হাত মিলিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
কিন্তু বড় গ্রহাণু পৃথিবীর কাছে এলে কী করা হয়?
১. কাইনেটিক মেথড- একটি স্পেস ক্র্যাফ্ট পৃথিবী থেকে পাঠানো হয়। যা সংঘর্ষ ঘটিয়ে গ্রহাণুকে অন্য কক্ষপথে পাঠিয়ে দেয়। ২ বছর আগে নাসার ডাবল অ্যাস্ট্রয়েড রিডিরেকশন টেস্টের মাধ্যমে এই পরীক্ষা করা হয়েছিল। ২০২২-এর ২৬ সেপ্টেম্বর, মহাকাশে থাকা ১৭০মিটার বড় গ্রহাণুকে ধাক্কা দিয়েছিল নাসার স্পেসক্র্যাফ্ট। ওই গ্রহাণুর থেকে পৃথিবীর কোনও ঝুঁকি ছিল না। সংঘর্ষের পর গ্রহাণুগুলির কক্ষপথ পরিবর্তন হয় কিনা, সেটা দেখার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ওই স্পেসক্র্যাফ্ট পাঠানো হয়। পরবর্তীকালে দেখা যায় গ্রহাণুটির কক্ষপথ পরিবর্তন হয়েছে। চিনের ন্যাশনাল স্পেস এজেন্সিও এমন একটি পরীক্ষা করতে চলেছে ২০২৫-এ।
দ্বিতীয় হল স্লো পুশ অ্যান্ড পুল মেথড- এর মাধ্যমে সৌর শক্তিকে ব্যবহার করে ধীরে ধীরে গ্রহাণুর কক্ষপথ পরিবর্তন করা হয়। একটি স্পেসক্র্যাফ্ট গ্রহাণুর কাছে গিয়ে সৌরশক্তিকে নিয়ে তা বাস্পের আকারে গ্রহাণুর উপর ফেলে। এর ফলে বেশ কিছু গ্যাস নির্গত হয় এবং ধীরে ধীরে গ্রহাণু সরতে থাকে।
তৃতীয় নিউক্লিয়ার মেথড- স্পেস ক্র্যাফ্টের মাধ্যমে নিউক্লিয়ার বোমা নিয়ে গিয়ে গ্রহাণুর উপর বর্ষণ করা। কিন্তু এটি যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ মহাকাশে এধরণের বিস্ফোরণ করলে তার টুকরো কোথায় কোথায় ছড়িয়ে পড়বে, কোন কক্ষপথে গিয়ে কী ক্ষতি করবে, তা যথেষ্ট উদ্বেগপূর্ণ হতে পারে। কোনও গ্রহাণু মারাত্মক বড় হলে এই মেথড প্রয়োগ করা হয়।
সুতরাং আপাতত নিশ্চিন্তে থাকুন। আগামী ১০০ বছরে কোনও গ্রহাণুর পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের এবং পৃথিবীর ধ্বংসের কোনও খবর নেই।

INDIA- PAKISTAN WAR: নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেলের পাল্টা অ্যাকশন রেডি। Pahalgam Attack। Nuclear Bomb

DA CASE NEWS : সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছল ডিএ মামলার শুনানি | Supreme Court | West Bengal News

Bangladesh News : মৌলবাদের কোলে দুলছে ইউনুসও । Muhammad Yunus | Sheikh Hasina | Bd Politics

Gautam Barat : বুম্বাদা Prosenjit Chatterjee বলেছিলেন আমাকে নিয়ে Story করতে । Tollywood Story

THE NEWSROOM PLUS : ” আমার খুন করতে ভালো লাগে ” – সৌরভ দাস । SOURAV DAS EXCLUSIVE । RPLUS NEWS

Tanmoy bhattacharya Exclusive:রাজনীতি শেখা উচিত কার থেকে ?।The Newsroom Plus।Baranagar By Election

Koustav Bagchi Exclusive : “যা করেছি বেশ করেছি” – কেন বললেন কৌস্তভ ?

Ayodhya Ram Mandir News

Ayodhya Ram Mandir News : রামসুধায় মেতেছেন ভক্তরা । R Plus News

What Men Really Wants : “পুরুষ কি চায় ? ” । @RPlusnewsdigital