নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: আমেরিকা, রাশিয়া ও ইসরোর মহাকাশচারীরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পে যেমন নিজেকে প্রতি নিয়ত নিযুক্ত করে চলেছেন তেমনই মহাকাশের রহস্য ভেদে মহাকাশে পাড়ি দিলেন তিন চিনা মহাকাশচারী। বুধবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ মহাকাশে পাড়ি দেন তাঁরা। এই তিন জন মহাকাশচারী হলেন, ৪৮ বছরের কমান্ডার কাই জুঝে, ৩৪ বছরের সং লিংডং এবং ৩৪ বছরের ওয়াং হাওজে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন মহিলা নভোচরও। আগামী ছমাস তাঁরা অন্তরীক্ষেই থাকবেন। ৩৪ বছরের ওয়াং হাওজে চিনের প্রথম মহিলা স্পেসফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারও। পাশাপাশি সং ও ওয়াংই চিনের সবচেয়ে তরুণ মহাকাশচারীর তকমা পেতে চলেছেন। বুধবার ভোর ৪টে ২৭ মিনিটে গানসু প্রদেশের মঙ্গোলিয়ার জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে সিনঝাউ স্পেসশিপ পাড়ি দেয় তিন মহাকাশচারীর মহাকাশযান। এটাই সেদেশের চতুর্দশ মহাকাশ অভিযান। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের পর নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করেছে চিনও। এই তিন চিনা নভোচরের লক্ষ্য তিয়াংগং স্পেস স্টেশন। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল ওই স্পেস স্টেশনে যায় চিনা মহাকাশচারীদের একটি দল। ৩ নভেম্বর সেই মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফেরার কথা। এবার তাদের থেকে দায়িত্ব বুঝে নিতে নতুন একটি দল পাড়ী দিল মহাকাশে। এই নতুন দলের মহাকাশচারীরা আগের দলের কাছে দায়িত্ব বুঝে নেবে। নতুন দলকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবে আগের মহাকাশচারীর দল। নতুন দল দায়িত্ব বুঝে নিয়ে আগামী বছর এপ্রিলের শেষভাগ অথবা মে মাসের শুরুর দিক পর্যন্ত মহাকাশ স্টেশনে সামলাবেন পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ। এভাবেই পর্যায়ক্রমে মহাকাশে গবেষণা করবে তাঁরা।এই ধরনের ধারাবাহিক গবেষণার মাধ্যমে চিন যে মহাকাশে তাদের ঘাঁটি ক্রমেই মজবুত করছে সেটা ক্রমশই নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।