অভয়ার বিচার সহ দশ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা। অনশনের সতেরো তম দিনে জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবিদাওয়া নিয়ে নবান্নে বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের আগে বিষ্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যে মন্তব্যে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সঞ্জু সুর নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- সোমবার বিকাল পাঁচটায় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা স্বাস্থ্য বৈঠক হওয়ার কথা। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার বিষয়ে অনশন তোলার পূর্ব শর্ত দিয়েছিলো রাজ্য। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ যে ই-মেইল করেছিলেন সেখানে এই বিষয়টির উল্লেখ ছিলো। তবে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা পাল্টা ই-মেইল করে জানিয়ে দেন একমাত্র বৈঠক সফল হলে তবেই তারা অনশন তুলবেন, তার আগে নয়। আর বৈঠক সফল না হলে মঙ্গলবারের প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য ধর্মঘট তারা চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে সোমবার কুণাল ঘোষ যে বিবৃতি দিয়েছেন তা এই আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সোমবার কুণাল ঘোষ বলেন, “আজকে বৈঠক আছে, সদর্থকভাবে সাড়া দিন। কোনো বাম বা অতিবাম কারো কোনো প্ররোচনায় পা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই বৈঠকটা ভেস্তে দেবেন না। যদি বাম, অতিবাম কারো কোন প্ররোচনায় পা দিয়ে আপনারা আজকের বৈঠক ভেস্তে দেন এবং আগামীকাল মঙ্গলবার জোর করে স্বাস্থ্য ধর্মঘটের নামে রাজ্যে কোনরকম কোন অরাজকতা বা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেন, এবং সারা বাংলায় কোথাও কোন রোগীর যদি কোনরকম ক্ষতি হয়, তাহলে সবাই প্রস্তুত থাকুন। যে যেখানে থাকবেন সেখানে স্থানীয় থানায় চিকিৎসক দেবাশীষ হালদার ও অনিকেত মাহাতো, এরাই এই বিশৃঙ্খলার মাতব্বর, এদের নামে এফআইআর করুন।”
তবে এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দের বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করে কুণাল ঘোষ বলেছেন, “সূত্রের খবর কিঞ্জল নন্দ প্রকাশ্যে ওদের সঙ্গে থাকলেও মন থেকে এই অরাজকতায় সাড়া দিচ্ছেন না। তাই তাঁর নাম এফআইআরের তালিকায় রাখবেন না।”
এদিকে কুণাল ঘোষের করা এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক ত্রিনেশ মন্ডল জানান, “কুণাল ঘোষ যে কথা বলছেন তাতে উনি কি মনে করছেন যে আজকের বৈঠক ভেস্তে যাবে যাতে কালকে আমাদের স্বাস্থ্য ধর্মঘট করতে হয় ? আজকের বৈঠক যদি ঠিকঠাক হয় তাহলে কালকের স্বাস্থ্য ধর্মঘটের তো কোন প্রশ্নই আসে না। কুণাল ঘোষ কি মনে করছেন যে আজকের বৈঠক ঠিকঠাক হবে না, ভেস্তে যাবে ?” কিঞ্জল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের সাথে কিঞ্জলের কোন বিভেদ নেই, উনি (কুনাল ঘোষ) আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছেন।”