প্রথম দুই দফার তুলনায় তৃতীয় তথা শেষ দফায় এসে ভোটের হার বেশ কিছুটা বাড়লো জম্মু ও কাশ্মীরে। মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত প্রায় ৬৫.৪৮ শতাংশ ভোট পড়েছে, যা নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্র সরকারের কাছে যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। এর আগের দুই দফায় ভোট পড়েছিলো যথাক্রমে ৬১.৩৮ শতাংশ ও ৫৭.৩১ শতাংশ হারে।
সঞ্জু সুর নিজস্ব প্রতিনিধিঃ – ৯০ আসন বিশিষ্ট জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার জন্য গত দশ বছরের মধ্যে এই প্রথম বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর প্রথম হওয়া এই নির্বাচন নিয়ে একদিকে যখন নির্বাচন কমিশন খুব চিন্তিত ছিলো, ঠিক তেমনি সুষ্ঠু ভোট মেটার উপরে বাজি ধরেছিলো ভারত সরকারও। কারণ, এই ভোটকে কেন্দ্র করে একটু এদিক ওদিক হলেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জম্মু কাশ্মীর নিয়ে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়তে হতো ভারত সরকারকে।
প্রথম দফায় ১৮ সেপ্টেম্বর ২৪ টি আসনের জন্য মোট ৬১.৩৮ শতাংশ ভোট পড়ে। এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ২৬ আসনে ভোট পড়ে প্রায় ৫৭.৩১ শতাংশ। এদিন শেষ দফায় মোট ৪০ টি আসনে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৫.৪৮ শতাংশ।
মঙ্গলবার যে ৪০ টি আসনে ভোট হলো তারমধ্যে কাশ্মীর সেক্টরে ১৬ টি ও জম্মু সেক্টরে ২৪ টি আসন। যদি জেলাওয়াড়ি ভাগ করা যায় তাহলে বান্দিপুর জেলার ৩ টি আসনের ভোটের হার ৬৩.৩৩ শতাংশ। বারামুলা জেলার ভোটের হার ৫৫.৭৩ শতাংশ। এই জেলার উল্লেখযোগ্য আসনগুলো হলো সোপর, উরি, গুলমার্গ, বারামুলা প্রভৃতি। জম্মু জেলায় এদিন ভোট পড়েছে প্রায় ৬৬.৭৯ শতাংশ। মুলত জম্মু শহর কেন্দ্রিক বিভিন্ন আসন যেমন জম্মু পূর্ব, জম্মু পশ্চিম, জম্মু উত্তর, জম্মু দক্ষিণ, আখনুর প্রভৃতি আসনে ভোট হয়েছে। কাঠুয়া জেলায় ভোট পড়েছে ৭০.৫৩ শতাংশ। কুপওয়ারা জেলায় ভোট পড়েছে ৬২.৭৬ শতাংশ। এছাড়া সাম্বা ও উধমপুর জেলায় ভোটের হার যথাক্রমে ৭২.৪১ ও ৭২.৯১ শতাংশ।
মঙ্গলবার মোট ৪০ টি বিধানসভা আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪১৫ জন প্রার্থী। দীর্ঘ দিন পর বিধানসভা ভোটের হাওয়া এখন উপত্যকা জুড়ে। এই ভোটে একদিকে যখন কংগ্রেস (INC) ও ন্যাশানাল কনফারেন্স (NC) জোট বেঁধে লড়াই করেছে অন্যদিকে তখন পিডিপি (People’s Democratic Party) এবং বিজেপি (BJP) আলাদা আলাদা লড়াই করছে। ফলে লড়াই হয়েছে ত্রিমুখী। ভোট শেষ, তবে এবার অপেক্ষা ৮ অক্টোবরের। সেদিনই জানা যাবে এই ত্রিমুখী লড়াইতে কার ঘরে উমা এলো।