অনুসূয়া দাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তায় ভারত। নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে ঘুঁটি। এই চিন্তার সূত্রপাত ইউনূসের এক বৈঠক থেকে। এটি কোন বৈঠক? কার সঙ্গেই বা ছিল সেই বৈঠক? বৈঠকে এমন কীই বা উঠে এল, যার জন্য নতুনভাবে ঘুঁটি সাজাচ্ছে ভারত। কেনই বা ভারত পেল যুক্তরাষ্ট্রের কড়া বার্তা? জানাব সবটা।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বাংলাদেশকে নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েছে ভারত। কী রকম সেই বিপদ? এই যেমন ধরুন নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি কূটনৈতিক চাপেও রয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।এই চিন্তার সূত্রপাত এক বৈঠকের পর থেকেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক নতুন চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের কাছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে ভারতও ছাড়তে নারাজ। নতুন পরিকল্পনা সাজাতে ব্যস্ত মোদী সরকার।
অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। যদি তা বেশিদিন হয়নি। এই প্রায় দেড়মাসের মতো। এরই মাঝে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন তিনি। যার মাঝেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকও সেরে নিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে নানান আলোচনা। জো বাইডেনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ ভাবে তুলে ধরা হয় দুই নেতার মধ্যে হয়ে থাকা আলোচনার বিষয়বস্তু। সেখানে ভালো মতোই ধরা পড়েছে দুই নেতার মধ্যে সম্পর্কের ঠিক কতটা বন্ধুত্ব পরায়ন. তেমনভাবে উল্টোদিকে তা চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে বাকি দেশগুলির
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আরও প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এখানেই শেষ নয়, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে. তাঁরা সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে । মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রানালয় সূত্রের বরাদ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলি জানায় বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ও এশিয়ার অন্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষভাবে বাংলাদেশের সহিষ্ণুতার অবসানে ভারতের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করবে ওয়াশিংটন। এখানেই শেষ নয়, ঠিক কী কারণে তাদের এই সিদ্ধান্ত… তাও জানানো হয়।
১. বাংলাদেশের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বন্ধ করতে চায় তারা
২. চায় বাংলাদেশে আইনের সুশাসন বজায় থাক
সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য ভারতের পাশপাশি এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে দেশের একাধিক মুখপাত্র।
আবার অন্যদিকে নিউইয়র্কে জো বাইডেন ও ডক্টর ইউনূসের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখা দিয়েছে তা ভারতের জন্য উদ্ধেগের কারন হতে পারে। মূলত শেখ হসিনা সরকার পতনের পরে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কে বেশ খানিকটা চিড় ধরেছে। তা স্পষ্ট হয়েছে বেশ কিছু ইস্যুতে।
কী কী সেই ইস্যু ?
১. প্রভাব পড়ে সেভেন সিস্টারে
২. ফেণীর বন্যার পরিস্থিতিতে তা কিছুটা স্পষ্ট হয়
৩. এছাড়াও রয়েছে ইলিশকাণ্ড
এই তিন ইস্যুই শুধু নয়, এছাড়াও একাধিক ঘটনায় প্রকট হয়েছে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ফিকে হয়ে যাওয়া সম্পর্ক
অন্যদিকে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বাংলাদেশকে একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ভারতও। এমন আবহে শঙ্কা দেখা দিয়েছে, তাহলে কি মোদী সরকার ও বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের সঙ্গে সম্পর্কে চিড়? থাকবে না কোনও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।
এখানে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে..একটাই… কোন দিকে এগোচ্ছে ভারত- বাংলাদেশ সম্পর্ক? এর মধ্যে সামনে এসেছে আরও এক তথ্য।
কী সেই তথ্য?
আগের অবস্থান থেকে সরে গিয়েছে মোদী সরকার। নতুনভাবে পরিকল্পনা সাজিয়েছেন তিনি। এই পরিকল্পনা শুরু হয় জো বাইডেন ও ডক্টর ইউনূসের বৈঠকের পর থেকেই।এর আগে গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। তার পরেই অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব নেন ডক্টর ইউনূস। এমন পরিস্থিতিতে নতুন ঘুঁটি সাজাচ্ছে মরিয়া ভারত।