ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী মামলা

রিয়া দাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নতুন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হতেই তাদের দাবি মেনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের ছাত্রশাখা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ১১ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ধানমান্ডি থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। এই মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ইসমাইলকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন। পুলিশের প্রতিবেদনে ইসমাইলকে কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক মানবাধিকারবিষয়ক উপসম্পাদক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সজীবুর রহমান, ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান, ওয়ালিউল খলিফা, উপগণশিক্ষা-বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাকিম হোসেন, বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, উপশিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, মানবাধিকারবিষয়ক উপসম্পাদক সেলিম রেজা, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি তামজিদ ভুঁইয়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শৈশবকে এই মামলায় নিযুক্ত করা হয়েছে।

মামলায় ধানমান্ডি থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ২৪ অক্টোবর রাত ২ টো ২৫ মিনিটের নাগাদ খবর পান, ধানমান্ডির ৩২ নম্বরের সামনে ছাত্রলীগের এই ১১ নেতা-সহ অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ নেতা-কর্মী অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে মিছিল করছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ মিছিল করছে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন পালিয়ে যায়।

ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার শাহ মোস্তফা তরিকুজ্জামান বলেন, যেহেতু সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে, তাই তারা কোনো ধরনের বিক্ষোভ বা মিছিল করতে পারবে না। বৃহস্পতিবার পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এই ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় ছাত্রলীগের এজাহারনামীয় ১১ জন অভিযুক্ত-সহ সহ অন্যরা মিছিল করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ক্ষতিসাধনের জন্য অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে স্লোগান দেন। তারা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপরাধ করেছেন বলে মামালায় অভিযোগ আনা হয়। গত ২৩ অক্টোবর রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়।