নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: নিত্যদিন নতুন রঙ নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ। এবার রণাঙ্গনে নতুন হাতিয়ার নিয়ে হাজির ইহুদি ফৌজ। হেজবোল্লা প্রধানের মৃত্যুর বদলা নিতে ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। তার পাল্টা জবাব দিয়েছে ইজরায়েলও। এবার দুই দেশের যুদ্ধ ক্ষেত্রে নিজেদের শক্তি বাড়াতে ময়দানে নিয়ে আসছে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র। তা মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধক্ষেত্রে আরও অশনিসংকেত বলে মত বিশেষজ্ঞমহলের। ইজরায়েলের “আয়রন বিম’। যাকে বলা হচ্ছে ‘নতুন যুগের অস্ত্র’।ইজরায়েলের আয়রন বিম খুব দ্রুতই শক্তিশালী লেজার ব্যবহার করা শুরু করবে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এক বছরের মধ্যেই তা কার্যকর হবে। তবে এখন প্রশ্ন কি এই আয়রন বিম? এতদিন আইডিএফ শত্রুদের আক্রমণ ঠেকাতে আয়রন ডোম ব্যবহার করে এসেছে। এই মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম অতি সহজেই প্রতিপক্ষের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করে দিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞমহলের। ২০১১ সালে এই ডোম সিস্টেম কাজ করা শুরু করে। কিন্তু বিখ্যাত এই সিস্টেমের কিছু ত্রুটিও রয়েছে। সব ধরনের বিপদ প্রতিহত করা এটির পক্ষেও সম্ভব নয়। যেমন রাডারের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অল্প উচ্চতায় উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র রুখতে পারে না এই হাতিয়ার। এই ধরনের সমালোচনার মধ্যেই এবার নয়া হাতিয়ার হাজির করেছে তেলআভিভ। নতুন এই অস্ত্র নিয়ে ভাবনাচওন্তা অবশ্য আজকের নয়। ২০২১ সালে প্রথম এটির নমুনা তৈরি হয়েছিল। তারপর এটি নিয়ে চলেছে দীর্ঘ পরীক্ষা নিরীক্ষা। অবশেষে তার সফলতা পেল ইজরায়েল। জানা গেছে ১০০ কিলোওয়াটের লেজার বিম তথা রশ্মি ছোড়ার ক্ষমতা রয়েছে এই আয়রন বিমের। যার পাল্লা সাত কিলোমিটার। যার মানে, আকাশপথেই শত্রুর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, রকেট সবই নিমিষেই ধূলিসাৎ করে দিতে পারে এই বিম। আর যেহেতু তা অদৃশ্য, তাই বিপক্ষ একে চিহ্নিত করে সতর্কও হতে পারবে না। তবে এটিরও একটা সমস্যা রয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বা দৃশ্যমান কম থাকলেএই সিস্টেমটি ভালোভাবে কাজ করতে পারবে না। তবে যায় হোক এই অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে সফলতায় খুশি ইজরায়েল।