নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: অবশেষে বরাদ্দ বাড়ল মিড-ডে মিলের। ২০২২ সালের পর ২০২৪ সাল। অর্থাৎ দু’বছর পর বরাদ্দ বাড়ল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২২ সালে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে বরাদ্দ বেড়েছিল যথা প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ বাড়িয়ে হয়েছিল ৫.৪৫ টাকা। আর উচ্চ প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ বেড়ে হয়েছিল ৮.১৭ টাকা । তবে গত দুবছরে বরাদ্দ না বাড়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল শিক্ষমহলের মধ্যে। নিত্যদিন যে হারে জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে তাতে মিড-ডে মিলের নূন্যতম বরাদ্দ থাকায় ছাত্র ছাত্রীরা সঠিক পরিমান পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ তোলেন শিক্ষকমহলের একাংশের। সেই পরিস্থিতিতে অবশেষে বরাদ্দ বাড়ল মিড-ডে মিলে। প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ বেড়ে হল ৬.১৯ টাকা। আর উচ্চ প্রাথমিকে ৯.২৯ টাকা। তবে এই বৃদ্ধিও ‘যৎসামান্য’ বলে মত শিক্ষকমহলের। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারীর বক্তব্য “পিএম পোষণ প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলো। প্রাথমিকে ছাত্র পিছু ৬ টাকা ১৯ পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ছাত্র পিছু ৯ টাকা ২৯ পয়সা করা হলো। একটা ডিমের মূল্য যেখানে ৭ টাকা সেখানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এই সামান্য বৃদ্ধির ফলে কোনভাবেই পুষ্টিকর আহার দেওয়া যায় না। আমরা দাবি করছি অন্ততপক্ষে এই বরাদ্দ যথাক্রমে ১৬ টাকা এবং ২০ টাকা করা হোক।”
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা অনেক দিন ধরেই দাবি করে আসছি যে, মিড-ডে মিল খাতে মাথাপিছু বরাদ্দ বাড়িয়ে প্রাথমিকে ১০ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ১৫ টাকা করা হোক। কিন্তু কেন্দ্র আজ বরাদ্দ যে পরিমাণ বাড়িয়েছে, তা হতাশাজনক। এর থেকে বোঝা যায়, কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন সরকার এই গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের কী চোখে দেখে! এই চরম মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এই সামান্য টাকায় ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া যায়?’’ তবে আগে যে পরিমান টাকা ছিল তার থেকে কিছুটা বরাদ্দ বাড়ল খুশি শিক্ষকমহলের একাংশ।