সুচারু মিত্র, সাংবাদিক : কয়েকদিন আগেই সল্টলেকে একটি বিশেষ বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বের কাছে বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে আগামী এক বছরে ১ কোটি সদস্য চাই। সক্রিয় সদস্য হলেই ভোট শতাংশ বাড়বে,২০২৬-এ পরিবর্তন আনা যাবে।অমিত শাহের সেই ফর্মুলা মেনেই এবার মাঠে নেমে পড়ল রাজ্য বিজেপি। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে আসল সংখ্যার বিচারে সেভাবে সাফল্য পায়নি বিজেপি। বরং ২০১৯ সালের তুলনায় এবারে লোকসভা নির্বাচনে আসল সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। কিন্তু ভোট শতাংশের বিচারে বিজেপি পর্যালোচনা করে দেখেছে দিনের পর দিন তাদের ভোট শতাংশ বাড়ছে, আর কিছু শতাংশ ভোট বাড়লেই রাজ্যে ক্ষমতায় আসা যাবে।
আর সেই বিষয়টাকে কি মাথায় রেখেই শিয়ালদা থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করল রাজ্য বিজেপি। মূলত উত্তর কলকাতা বিজেপি ডাকে শিয়ালদা সংগ্রহ অভিযান। একেবারে শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে ক্যাম্প করে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে বিজেপি। বিজেপির উত্তর কলকাতার নেতৃত্বের বক্তব্য ইতিমধ্যেই উত্তর কলকাতার তরফে ১০ হাজার সদস্য পাওয়া গিয়েছে। সংখ্যাটা আরও বাড়বে। প্রত্যেক মাসে এই সদস্য সংখ্যা কতটা দাঁড়াচ্ছে গোটা রাজ্যের সামগ্রিক সেই রিপোর্ট পৌঁছে দিতে হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। কোন জল মেশানো রিপোর্ট দেওয়া যাবে না আগেই বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। তাই এবার প্রত্যেক দিনের ডেটাবেস তৈরি হচ্ছে এবং সেই ডেটাবেস তৈরি করার পর তা মাসের শেষে মেল করে দেয়া হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।১ কোটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এখন বিজেপির শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে নীচু স্তরের নেতারা মরিয়া ভাবে পরিশ্রম করছেন। আগামী এক বছরে এই সদস্য সংখ্যা অভিযান সফল করতে পারলে সাংগঠনিকভাবেও বিজেপি অনেকটা বেশি শক্তিশালী হবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে কলকাতা যেখানে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত গড় বলে পরিচিত সেই শক্ত গড়ে আগামী দিনে কি রাজনৈতিকভাবে সাফল্য পাবে বিজেপি?… বলে দেবে সময়।