সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: দীর্ঘদিন অধরা থাকার পর অবশেষে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই অনমোল বিষ্ণোইকে আটক করল মার্কিন পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় আটক করা হয় এই গ্যাংস্টারকে। একটি সূত্র মারফত আনমোলের আটক হওয়ার খবর পায় মুম্বাই পুলিশ। লরেন্স বিষ্ণোই গ্রেফতার হওয়ার পরেই আমেরিকায় গা ঢাকা দেয় লরেন্সের ভাই আনমোল ও দলের সদস্য গোল্ডি ব্রার।
সেখান থেকেই গ্যাংয়ের কাজ পরিচলনা করছিলেন তাঁরা। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে কানাডায় আরশদীপ সিং গিল ওরফে আরশ ডাল্লার আটকের পর এটি ওয়ান্টেড গ্যাংস্টারদের দ্বিতীয় বড় আটক মার্কিন আধিকারিকদের। আনমোলকে শেষবার ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেসনো শহরে দেখা গেছিল। তবে সেখান থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। চলতি বছরের ১৪ই এপ্রিল অভিনেতা সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানো এবং ১২ই অক্টোবর এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকীকে খুন করার কথা স্বীকার করে বিষ্ণোই গ্যাং। তবে এই ২ টি ঘটনায় আনমোল জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে মুম্বাই পুলিশ। যদিও সোশাল মিডিয়ায় আনমোল নিজেই সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনা স্বীকার করেছিল। এরপরেই মুম্বই পুলিশ লুক আউট নোটিস জারি করে তাঁর বিরুদ্ধে। এনসিপি নেতা খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, হত্যাকারীরা স্ন্যাপচ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে আনমোলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। ভারতের হাতে আনমোলকে তুলে দেওয়ার জন্য আমেরিকা প্রশানের কাছে অনুরোধ করতে চলেছে মুম্বাই পুলিশ। ইতিমধ্যেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) “মোস্ট ওয়ান্টেড” তালিকায় রেখেছে অনমোল বিষ্ণোইকে। গায়ক, শিল্পপতি, রাজনৈতিক নেতা, খেলোয়াড়সহ দেশের বিত্তশালী ব্যক্তিদের প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করাই এই গ্যাংয়ের একমাত্র কাজ। টাকা না দিলে তাঁদের খুন পর্যন্ত করত বিষ্ণোই গ্যাং। পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, রাজস্থান, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে ছড়িয়ে রয়েছে এই গ্যাংয়ের নেটওয়ার্ক। বিদেশ থেকে টাকা অস্ত্র সরবরাহের কাজে যুক্ত আনমোল ও গোল্ডি। আমেরিকার খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠী (বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বিষ্ণোই গ্যাং। NIA এই পুরো নেটওয়ার্ককে আন্ডারওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক বলেই একটি চার্জশিটে জানিয়েছে।