নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: দ্বিতীয় বারের মত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন তিনি। নির্বাচনে জয়লাভ করার পরেই নিজের মত করে দফতরগুলি সাজিয়ে নিচ্ছেন ট্রাম্প। এবার আমেরিকার গোয়েন্দা দফতরের প্রধান হলেন ‘মোদির বন্ধু ‘ তুলসি গাবার্ড। কে এই তুলসী গাবার্ড? একসময় ডেমোক্রেটিক দলের নেত্রী ছিলেন এই তুলসি গাবার্ড। ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দৌড়ে সামিল হলেও, শেষপর্যন্ত প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান তিনি। তার পর বাইডেন সরকার ও দলীয় সহকর্মীদের বিরুদ্ধে বারবার নানা অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, বর্তমান সরকার প্রতিটি ইস্যুতে বর্ণ বিচার করে কাজ করে। যার প্রতিবাদ তিনি করেন বলেও জানান। এছাড়াও তিনি মার্কিন সেনাতেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন । ইরাক ও কুয়েতেও মার্কিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করেছেন । পাশাপাশি ‘হাউস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটি’-তেও দুবছর কাজ করেছেন তুলসী। আর এইভাবেই প্রতিরক্ষা বিষয়ে অগাত অভিজ্ঞতা করেন তিনি। তাঁর সেই অভিজ্ঞতা ও সাহসী মনোভাবের জন্য গোয়েন্দা প্রধান হিসাবে ট্রাম্প পছন্দ করেছেন তুলসী। হবু প্রসিডেন্ট তুলসীকে গোয়েন্দা দফতরের প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়ায় খুশি তুলসী। তিনি হবু মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,
“আমেরিকার জনগণের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আপনার মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি ধন্য। এই সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি।” উল্লেখ্য, প্রসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম থেকেই ট্রাম্পের পাশে ছিলেন তুলসী। ট্রাম্পের জয়লাভের পর বিভিন্ন প্রশাসনিক পদের দাবিদার নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ট্রাম্পের পছন্দের তালিকা ঘোষিত হয়। যেখানে ননাম ছিল তুলসীরও। বুধবার বিবৃতি দিয়ে নয়া গোয়েন্দা প্রধান হিসাবে এই প্রাক্তন ডেমোক্র্যাটের নাম ঘোষণা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “এক সময় তুলসী গাবার্ড ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য ছিলেন। এখন তিনি রিপাবলিকান। অর্থাৎ দুদলের সমর্থন পেয়েছেন তুলসী। আমি জানি ওঁর ভয়ডরহীন মানসিকতা ও দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আমাদের গোয়েন্দা দপ্তরকে সমৃদ্ধ করবে।” অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বহুদিনের পরিচয় তুলসীর।আমেরিকার অনুষ্ঠিত ‘হাউডি মোদি ‘ অনুষ্ঠানের সময় নমোর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল তুলসীর।
মোদির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের ছবি হাতিয়ার করে দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে আমেরিকার একটি মহল ও বেশ কিছু সংবাদপত্র তুলসীকে ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী’ বলেও কটাক্ষ করে। কিন্তু কোনও কটাক্ষকেই আমল দেননি তুলসী। পাশাপাশি আমেরিকার গোয়েন্দা দফতরের প্রধান হিসেবে ট্রম্পের পছন্দের তালিকায় তুলসী থাকায় খুশি তিনি। গোয়েন্দা দফতরের প্রধান হিসেবে তাঁর নাম ট্রাম্প ঘোষণা করায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান তিনি।